সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের সুরক্ষা অপরিহার্য
Published : Monday, 15 November, 2021 at 12:00 AM
ন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের সুরক্ষা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘সন্তানের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও মেধাকে বিকশিত করার জন্য পরীক্ষার ফলের জন্য চাপ না দিয়ে তাকে শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
রবিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ আয়োজিত শিশু সুরক্ষা প্রেক্ষাপট ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যত ডিজিটাল হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ তত বাড়ছে ও ডিজিটাল নিরাপত্তার গুরুত্ব তত বাড়ছে। শিশুদেরকে ডিজিটাল যন্ত্র থেকে বা ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য প্যারেন্টাল গাইডেন্স অনুসরণের মাধ্যমে শিশুকে ডিজিটাল ডিভাইসে সম্পৃক্ত করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, অনলাইনে যুক্ত হওয়ার দায় শিশুদের ওপর না চাপিয়ে ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও ডিজিটাল ডিভাইস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিঅরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আজিজুল হক, সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনসিটিভি সদস্য প্রফেসর মশিউজ্জামান ও প্রফেসর রিয়াজুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল হচ্ছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তত বাড়ছে। এই ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ হাজার পর্নোসাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইটসহ বিপজ্জনক সাইটগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যাতে বিনষ্ট না হয়, তা তাদেরকে মেনে চলতে অনেকটা সফল হয়েছি।’
সভাপতির বক্তৃতায় তাসমিমা হোসেন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘নীরবতা আমাদের ভাঙতে হবে। ইতোমধ্যে নীরবতা ভাঙতে শুরু করেছে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যম সুন্দর সিকদার শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের সচেতনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সরকার, বিশেষত বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে যেসব কর্মকাণ্ড করছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিটিআরসি নিজেরা ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল গঠন করেছে। বিটিআরসি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে সর্বাত্মক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা বলেন, ‘আমরা নীরবতা ভাঙার সংস্কৃতি চাই। এই আলোচনা সভাটি সেই নীরবতা ভাঙার জন্য আয়োজিত হয়েছে। এই জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’