Published : Saturday, 20 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 20.11.2021 12:48:20 AM
ইউনিয়ন
পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও গোলযোগের মধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের
‘তৎপরতা’ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে নির্বাচন
কমিশনার। শুক্রবার সকালে নির্বাচন ভবনে সব বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে এ
নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ইউপি নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপের ভোট শেষ
হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর তৃতীয় ও ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে।
শিগগির আরেক ধাপের তফসিল দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন।
দেশের সাড়ে চার
হাজার ইউনিয়নের মধ্যে এ পর্যন্ত ১২০০ ইউপির ভোট হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘাতে এরইমধ্যে প্রাণ গেছে অন্তত তিন ডজন মানুষের।
নির্বাচন
কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরের ধাপের নির্বাচনগুলোতে কর্মকর্তারা
যেন আরও ভাইব্রেন্ট হন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের যেন কড়া নজরদারি
থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
আগে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়গুলোও তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসির
উদ্যোগগুলো তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর
অভিযোগে ইতোমধ্যে এক জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আরেকটি নির্বাচনী
এলাকায় একজন সাংসদ সদস্য অবস্থান করায় তাকে দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য জরিমানাও করা হচ্ছে। ফৌজদারী অপরাধগুলোর বিষয়ে
স্থানীয়ভাবে মামলা হচ্ছে।
বিভাগীয় কমিশনাররা ঢাকায় এসেছিলেন প্রশাসনের
এক বৈঠকে যোগ দিতে। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার তাদের ওই সভা হয়। বিষয়টি জানতে
পেরে শুক্রবার তাদের ইসিতে ডাকা হয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য।
রফিকুল
ইসলাম বলেন, “আমরা সব বিভাগে এ সময়ে যেতে পারব না। তাই চাইলাম যে কথাগুলো
আমরা বলে আসছি, সেগুলো তাদের সঙ্গে বসে সামনাসামনি বলি। তাই এ বৈঠক।”
ইসির
জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম
নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে তিন নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর’ করতে সব ধরনের
পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।