নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় সিটি মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুসহ ১৩ জনকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৬ নভেম্বর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত ১১ নভেম্বর তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। পুলিশের আবেদন করা ৭ দিনের রিমান্ডের বিপরীতে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ আদেশ দেন।
আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবু সহ অন্যান্য আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বলার মত কিছু নেই। মামলার তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলছে।
পুলিশের আরো একটি সূত্র জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে আরো তথ্যের জন্য আবারো রিমান্ড চাইতে পারেন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আগে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তারপর পরবর্তী কার্যক্রম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম খান জানান, বাবুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী পুলিশ, অন্যটির বাদী পূজা ব্যবস্থাপনার আহ্বায়ক তরুণ কান্তি মোদক মিথুন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর শনিবার গভীর রাতে সাজেক থেকে মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন পুলিশের মামলার আরও ১২ আসামিকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে।
গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলার পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান বাবু। উল্লেখ্য, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার পর সহিংসতা শুরুর জন্য তাকে অভিযুক্ত করেছেন এলাকাবাসী ও মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা।