ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চেও জয় পেলো না বাংলাদেশ
Published : Tuesday, 23 November, 2021 at 12:00 AM
শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চেও জয় পেলো না বাংলাদেশশেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। বল হাতে তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটসম্যান সরফারজ আহমেদ। প্রথম বলটি দিলেন ডট। দ্বিতীয় বলেই মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। আউট হয়ে গেলেন তিনি। পরের বলেই উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান হায়দার আলি ক্যাচ তুললেন। লং অনে ক্যাচ ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হলো মাহমুদউল্লাহর। ম্যাচও দারুণ জমে উঠলো। তৈরি হলো রোমাঞ্চ। কিন্তু চতুর্থ বলেই ইফতিখার আহমেদ ছক্কা মেরে দিলেন। হ্যাটট্রিক তো হলোই না। উল্টো ছক্কা খেলেন রিয়াদ। পঞ্চম বলে আবারও উইকেট। এবার ইফতিখার ক্যাচ দিলেন পরিবর্তিত ফিল্ডার ইয়াসির রাব্বির হাতে।
শেষ বলে রান লাগবে ২। এক্ষণে দারুণ রোমাঞ্চ জমে উঠলো। রিয়াদ একবার বল করলেন। কিন্তু তার আগেই সরে দাঁড়ালেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ। আবার রিয়াদ বল করতে এসে মানকাডিংয়ের চেষ্টা করলেন পাকিস্তানের নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকে।
কিন্তু শেষ বলটিকে আর ঠেকাতে পারলো না বাংলাদেশ। বাউন্ডারি মেরে দিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ১২৪ রান নিয়েও দারুণ লড়াই করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শেষ বলে এসে তারা হারলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে। সে সঙ্গে হলো হোয়াইটওয়াশ।
পুঁজিটা ছিল বরাবরের মতই ছোট। মাত্র ১২৪ রানের। এত ছোট পুঁজি নিয়ে কতটুকুই বা লড়াই করা যায়? এমন পরিস্থিতিতে বোলারদের অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে। তবুও, সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে যেতে পেরেছে একেবারে শেষ বল পর্যন্ত।
শুরুতেই ইনফর্ম ওপেনার, অধিনায়ক বাবর আজমকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে ফিরিয়ে দিয়ে দলের মধ্যে একটা স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেন বাবর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে অবশ্য বাবর আজমের ব্যাট খুব একটা কথা বলেনি। প্রথম ম্যাচে তাসকিনের বলে, দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়েছিলেন তিনি ইনিংসের শুরুতেই। এবার আউট হলেন বিপ্লবের বলে ক্যাচ তুলে। কাউ কর্নারে দাঁড়িয়ে ওই ক্যাচটি তালুবন্দী করেন মোহাম্মদ নাইম। ২৫ বল খেলে ১৯ রান করে বিদায় নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান আর হায়দার আলি মিলে পাকিস্তানকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসেন। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে ৫১ রানের জুটি দাঁড় করিয়ে ফেলেন তারা দু’জন। যখন বিচ্ছিন্ন হলেন, তখন পাকিস্তানের রান ৮৩।
শেষ পর্যন্ত অভিষিক্ত পেসার শহিদুল ইসলামের বলে আউট হন রিজওয়ান। সাইড স্ট্রেইনের কারণে মোস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতিতে কপাল খুলে যায় তার। সুযোগটার স্দ্ব্যবহার করলেন শহিদুল।
পাকিস্তানের ওপেনার এবং ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই শহিদুলের বলকে থার্ডম্যান দিয়ে বের করে দিতে চেয়েছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু মিস করেন তিনি। উইকেটরক্ষকের হাতে যাওয়ার আগে স্ট্যাম্পে আলতো ছোঁয়া লাগিয়ে যায় বল। ৪৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি।
বাকি কাজটা সরফরাজকে সঙ্গে নিয়েই করে যেতে চেয়েছিলেন হায়দার আলি। কিন্তু শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলা জমিয়ে তুলেও জিততে পারলেন না। তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকি তিন বলের একটি ডট দিলেও অন্য দুই বলের একটিতে ছক্কা, অন্যটিতে বাউন্ডারি মেরে দিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।