‘পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আলোকিত করাই আমাদের লক্ষ্য’
Published : Friday, 26 November, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
শিক্ষার
আলো থেকে পিছিয়ে পড়া ছিটকে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ও মানবিক শিক্ষাদানই
আমাদের লক্ষ্য। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা করেছি কিছু নিতে নয়,
মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ থেকে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে
শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ও গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে।বৃহস্পতিবার দুপুরে
দেবীদ্বারে জালাল উদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শিক্ষার মান
উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক
অতিরিক্ত সচিব একেএম খায়রুল আলম এ কথা বলেন।
ওই মতবিনিময় সভায় বিদ্যালয়
পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
একেএম সফিকুল আলম কামাল ভিপির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিকের
কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, উপজেলা
শিক্ষক সমিতি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফিউল্লাহ,
আব্দুল মান্নান সরকার, মোঃ হিরন সরকার।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ
নেন জালাল উদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র
দাস, আ’লীগ নেতা মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ মাহববুর রহমান মূন্সী, মোঃ কবিরুল
ইসলাম, মোঃ আবুল কাসেম, মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া টিটু, সাংবাদিক সাহিদুল
ইসলাম, শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ নাজমুল হাসান, মোঃ আল আমিন, ফারজানা
আক্তার, হাদীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার,
মোঃ নাছির উদ্দিন, শাহিনুর আক্তার, কাজী আরিফুর রহমান, মোঃ জহিরুল ইসলাম
মজুমদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, বৈশি^ক মহামারী করোনার প্রভাবে সারা
বিশে^ বিপুল সংখ্যক আলোকিত মানুষকে হারানোই নয়, শিক্ষা-স্বাস্থ্য এবং
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়াতে
আমাদের মনোবল বাড়াতে হবে, শিক্ষাখাতে আমাদের নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, আমার
পিতা মরহুম জালাল উদ্দিন আহমেদের নামে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জালাল উদ্দিন
আহমেদ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন
অব্যাহত আছে। একই ধারায় মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত জামিলা খানম আদর্শ
কিন্ডারগার্টেনও সুনামের শীর্ষে রয়েছে। একঝাক তরুণ ও বিজ্ঞ শিক্ষক এবং
অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য ভালো ফলাফলের পাশাপাশি গুনগত শিক্ষা বিস্তার করা। যেখান থেকে
শিক্ষার্থীরা পারিবারিক শিষ্টাচার, প্রকৃত ও মানবিক শিক্ষা নিয়ে শিক্ষা
শেষে বেড়িয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা শুধু গুণগত শিক্ষাই নয়, ক্রীড়া, সংস্কৃতি,
সাধারন জ্ঞান, সু-স্বাস্থ্য নিয়ে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরী হবে। আগামী
২০২৩ সাল থেকে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক সেকশনের কার্যক্রম শুরু করার আশ^াসও
তিনি দেন।
তিনি আরো বলেন, আমার পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সারা জীবন
শিক্ষার আলো জে¦লে গেছেন। আমরাও তার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং পিছিয়ে পড়া,
শিক্ষার আরো থেকে ছিটকে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষাদানে প্রকৃত
শিক্ষায় শিক্ষিত করতেই এ প্রতিষ্ঠানগুলো তেরী করেছি। আমরা বানিজ্যিক
চিন্তায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেনি। এখান থেকে আমরা কেন আমাদের
আগামী প্রজন্মের কেউ এক পয়সার সুবিধাও নেবেনা। আমাদের লক্ষ আলোকিত মানুষ
তৈরী ও বাসযোগ্য সমাজ বিনির্মাণ।