Published : Thursday, 25 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 25.11.2021 1:30:49 AM
বহুল
আলোচিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো.
সোহেল এবং আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহাকে হত্যার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ
হয়েছে। ভিডিওটিতে দুইজন যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায়। গত সোমবার
বিকাল সাড়ে ৪টার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মুখোশধারী দুইজন পিস্তল নিয়ে কুমিল্লা
নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে
দৌড়ে আসেন। এর মধ্যে একজন ভেতরে ঢুকে প্রথম দফায় গুলি চালান। কয়েক সেকেন্ড
পর মুখোশধারী আরেজনও কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। একবার নয়, কয়েক
রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এ সময় রাস্তায় কোনো মানুষ দেখা যায়নি। আশপাশের দোকাগুলো
ছিল বন্ধ। পরে নেভি ব্লু শার্ট পরা আরেকজন কার্যালয় লক্ষ্য করে কয়েক
রাউন্ড গুলি করেন। দুই যুবক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি
চালাতে থাকেন। গুলি শেষে ধীর পায়ে পিস্তল পকেটে ঢুকিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন
ওই দুই যুবক। পুরো ঘটনাটি ঘটে মাত্র এক মিনিটে। ঘটনার পর যুবকরা স্থান
ত্যাগ করলে আশপাশের লোকজনকে বের হতে দেখা যায়।
নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো.
সোহেল (৪৫) পাথুরিয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। হরিপদ সাহা (৫৫) নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি
নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে
জানা গেছে, সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে
রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এমতাবস্থায় পূর্ববিরোধকে
কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮
জন সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
এতে
কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে
দুটি গুলিবিদ্ধ হয়। এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক
সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), সদস্য মো. বাদল (২৮), কাউন্সিলরের সহযোগী
রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২) আহত হন।
এ সময় আশপাশের লোকজন
আহতদের উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা
৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকি চারজন
কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।