Published : Thursday, 25 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 25.11.2021 1:30:12 AM
কুমিল্লার
সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে প্রকাশ্যে সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেল ও তার
সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যার ঘটনায় মামলার ৪ নম্বর আসামী সুমনকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা
নিতে আসলে তাকে আটক করে র্যাব। মামলার প্রধান আসামী শাহ আলমের ভাতিজা
সুমন সুজানগর বউ বাজার এলাকার কানু মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার সকালে সুমনকে
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
র্যাব
কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসলে সুমনকে আটক করা হয়। পরে তাকে
পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বাদী কাউন্সিলর
সোহেলের ভাই সৈয়দ মোঃ রুমন উল্লেখ করেন, ৪নং আসামি সুমন অন্যান্য আসামীদের
সাথে কাউন্সিলর সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। এছাড়া সে ককটেল
বিষ্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুরে আতংক তৈরী করে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার জানান, আরো বেশ কয়েক জন আসামী শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে ধরতে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এর
আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে মামলা দায়ের করে নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ
রমোঃ রুমন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান কোতয়ালী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার উল আজিম। মামলায় ১১ জন আসামীর নাম
উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে আরো ১০ জনকে রাখা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নাম উল্লেখ করা ১১ জন আসামী হল- নগরীর
১৬নং ওয়ার্ড সুজানগর বউবাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম, শাহ আলমের
ভাই আলম, তার ভাতিজা কানু মিয়ার ছেলে সুমন, বউবাজারের কানাই মিয়ার রনি,
নবগ্রামের মৃত সামছুল হক মিয়ার ছেলে সায়মন, সংরাইশ বেকারির গলির মনজিল
মিয়ার ছেলে মাসুম, সুজানগর পূর্বপাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, তেলিকোনার
আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, সংরাইশ কাকন মিয়ার ছেলে সাজন,
সুজানগর পানির ট্যাংকি এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে মো: সাব্বির হোসেন ও
নবগ্রামের সাব্বির হোসেনের ছেলে জেল সোহেলকে আসামী করা হয়। সোহেল
কাউন্সিলরকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করার দায়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রধান
অভিযুক্ত জেল সোহেলকে দুই নম্বর আসামী করা হয়েছে।
নিহত কাউন্সিলরের ছোট
ভাই রুমন বলেন, মঙ্গলবার রাতে কোতয়ালী থানায় বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ
করে আরো ৮/১০ জনের অজ্ঞাত নামে মামলা দায়ের করি। আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ
করবো সহসাই যেন আসামীদের আটক করা হয়।
সৈয়দ মোঃ রুমন মামলার
এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডে
সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করার চেষ্টা করায় আসামীরা কাউন্সিলরের উপর
ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং এই হত্যাকান্ড চালায়।