Published : Tuesday, 30 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 30.11.2021 3:28:41 AM
তানভীর
দিপু: গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং
প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল এবং তার রাজনৈতিক সতীর্থ
হরিপদ সাহা কিলিং মিশনের হিট স্কোয়াডের সম্ভাব্য ৬ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব
হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া
আরো একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কালো পোশাক, মাথায় কালো
কাপড় বাঁধা ও কালো মুখোশ পরা দুই ব্যক্তির হাতে পিস্তল হাতে
সুজানগর-পাথুরিয়া পাড়া সড়কে গুলি করতে করতে এগিয়ে এসে আবার ফিরে গেছেন। এর
পেছনে পাথুরিয়াপাড়া রথ সড়কের ল্যাম্পপোস্টের কাছে কালো পোশাকধারী আরও
তিনজনকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। দৌড়ে আসা দুই যুবককে শাহ আলম ও নাজিম বলে
শনাক্ত করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এসব তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দৌড়ে আসা প্রথম যুবক
মামলার প্রধান আসামী শাহ আলম এবং নাজিম বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার। তবে যারা শনাক্ত হয়েছেন বলা
হচ্ছে তাদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়,
কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা হল- শাহ আলম (এজহার নামীয়), সাজেন (এজহার
নামীয়), সাব্বির (এজহার নামীয়), জেল সোহেল (এজহার নামীয়), নাজিম এবং ফেনী
থেকে আগত একজন অজ্ঞাত আসামি। প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, আসামিরা ঘটনার
আগের রাত্রে এজহার নামীয় আসামি সাজেনের বাসায় বৈঠক করে এবং ঘটনার দিন দুপুর
৪ টার দিকে একটি অটো ভাড়া করে কাউন্সিলরের অফিসের দিকে রওনা দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্ত ২৯ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দিতে জানায় যে, সে হিট স্কোয়াডের সদস্যদের অটো ভাড়া করে দিয়েছিল।
এদিকে
গত ২৮ নভেম্বর এজাহার নামীয় আসামি জিসানকে কোতয়ালি থানার পাঁচথুবী এলাকা
হতে এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তকে দেবিদ্বর থেকে
গ্রেপ্তারের পর ২৯ নভেম্বর বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট ২ নং আমলি
আদালতে উঠানো হয়। এছাড়া আদালতে এই দুই জনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনও করা
হয়। তবে রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এনিয়ে ৩ জন
আসামিকে র্যাব ও ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার
পর পরই কুমিল্লা জেলা পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট এবং ডিএমপির কাউন্টার
টেরোরিজম ইউনিট এর বিশেষজ্ঞ দল ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামি
গ্রেপ্তারের কাজ শুরু করে। এই প্রেক্ষিতে ঘটনার এজহার নামীয় আসামি মাসুমকে
২৫ নভেম্বর চান্দিনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর এজহার
নামীয় আসামি জিসানকে কোতয়ালি থানার পাচথুবী এলাকা হতে এবং তদন্তে প্রাপ্ত
আসামী মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্ত প্রকাশ অন্তকে দেবিদ্বার এলাকা হতে
গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু ২৯
নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
হিট স্কোয়াডের শনাক্তকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিমের সাঁড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।