কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া
খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি শাহ আলমের মরদেহও জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ময়নাতদন্ত শেষে
বিকেল ৩টায় তার মরদেহ নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিক্কার চর কবরস্থানে দাফন
করা হয়। এসময় শুধুমাত্র শাহ আলমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে
শাহ আলমের মরদেহ তার নিজ বাসস্থান সুজানগর এলাকায় যেন না আনা হয় জানিয়ে
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ জানায় স্থানীয়রা। যে কারনে শাহ আলমের
মরদেহ দাফনের সময় আপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকাজুড়ে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা
লক্ষ্য করা যায়। নিহত শাহ আলম ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার
মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
এদিকে এর আগে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে নিহত অপর
দ্ইু আসামি সাব্বির ও সাজনের মরদেহও গত মঙ্গলবার জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়
টিক্কারচর কবরস্থানে।
বৃহস্পতিবার বিকালে শাহ আলমের মরদেহ সুজানগরে
আসার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা রাস্তার দুই পাশে ভিড়
করেছে। তাদের কবরস্থান এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দুপুর আড়াইটার দিকে
শাহ আলমের মরদেহ টিক্কারচর ঈদগাহে আনা হয়। এ সময় কবর খোঁড়ার জন্য লোক
পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে মরদেহ দাফন
করেন। শাহ আলমের কবরের ওপরে বাঁশ বা কাঠও ব্যবহার করা হয়নি।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
আনওয়ারুল আজিম জানান, টিক্কারচর কবরস্থানে মরদেহ দাফন না করার জন্য
এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছিল। তাই আমরা শুরু থেকেই সতর্ক ছিলাম। অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করে মরদেহ দাফন করা হয়।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১৫
মিনিটে কুমিল্লা সদরের চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন শাহ আলম। তিনি কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ
সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।
এর আগে গত
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একই ঘটনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আসামি
সাব্বির ও সাজনকেও জানাজা ছাড়াই নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত,
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে
হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।