ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মেসির সেই গোলই জিতলো সেরার পুরস্কার
Published : Saturday, 18 December, 2021 at 12:00 AM
চলতি মৌসুমের শুরুতে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। নতুন ক্লাবে শুরুতে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে। এমনকি প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষাও করতে হয়েছে কয়েক ম্যাচ।
গত সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে গোল করে নিজের পিএসজি খাতা খোলেন মেসি। সেই গোলটিই এবার জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের সেরা গোলের পুরস্কার।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আয়োজক উয়েফা। গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ হওয়ার পর গত ১৩ ডিসেম্বর দশটি গোলের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল তারা। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ছিল ভোট দেওয়ার সময়।
চার দিনে প্রায় ২ লাখ ভোট পড়েছে এই দশ গোলের বিপরীতে। যেখানে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরা গোল নির্বাচিত হয়েছে ম্যান সিটির বিপক্ষে করা মেসির গোলটি। নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে দৃষ্টিনন্দন এক গোলই করেছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে পোর্তোর বিপক্ষে করা লিভারপুলের মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকান্তারার গোল। আর ১৩ শতাংশ ভোটে তৃতীয় হয়েছে রবার্ট লেওয়ানডস্কি করা বাই সাইকেল কিকের গোল। যা তিনি করেছিলেন ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে।




২০৭ রান করেও হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল হারের বৃত্ত ভাঙ্গার। কিন্তু ২০৭ রান করেও হার এড়াতে পারল না ক্যারিবিয়রা। ২০৮ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাগতিক পাকিস্তান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৭ বল আগেই ৩ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।
করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্যারিবিয়রা। ওপেনার ব্রেন্ডন কিংস ও সামারাহ ব্রুকস মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৬৬ রান। এরপর তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান ৩৭ বলে ৬৪ রান তুললে ক্যারিবিয়দের স্কোর সহজেই দুইশ ছাড়িয়ে যায়। ব্রেন্ডন কিংস ২১ বলে ৪৩ ও সামারাহ ব্রুকস ৩১ বলে করেন ৪৯ রান। চার নম্বরে নামা ড্যারেন ব্রাভো ২৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস দাঁড়ায় ২০৭ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি এবং শাহনেওয়াজ দাহানি নেন ১টি উইকেট।
২০৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম তাণ্ডব চালান ক্যারিবিয় বোলারদের ওপর। দুজন মিলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েছেন। বাবর ৫৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। অন্যদিকে রিজওয়ান ৪৫ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করে আউট হন। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আসিফ আলীর ৭ বলের ২১ রানের ঝড়ে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান।