
অনেক
জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে গঠিত হলো বিসিবির নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি। এর
মধ্যে কিছু কমিটির চেয়ারম্যান পদ অপরিবর্তিত থাকলেও বেশ কয়েকটি পদে
পরিবর্তন এসেছে। দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন ব্যক্তিরা।
বিসিবির সবচেয়ে
বয়োজেষ্ঠ পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ পুনরায় ওয়ার্কিং কমিটি প্রধান হয়েছেন।
তিনি একা নন। জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন, নাইমুর
রহমান দুর্জয় এবং সাবেক ক্রিকেটার মাহবুব আনাম এবং শেখ সোহেলও আগের পদেই
বহাল আছেন।
বিসিবির নতুন গেম ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানও খালেদ
মাহমুদ সুজন। তার সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক বিসিবি পরিচালক
অন্তঃপ্রাণ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহাকে।
নাইমুর রহমান দুর্জয় যথারীতি হাই পারফরমেন্স ইউনিট প্রধান। এই কমিটির
সহসভাপতি রাখা হয়েছে আকরাম খানকে। মাহবুব আনামকে আবারও গ্রাউন্ডস কমিটির
চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিতে এসেছে পরিবর্তন। আকরাম
খানের বদলে নতুন ক্রিকেট অপস প্রধান হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ডের
অন্যতম সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস। ক্রিকেট অপসের সহসভাপতি রাখা হয়েছে
খালেদ মাহমুদ সুজনকে। এছাড়া তাকে টুর্নামেন্ট কমিটিরও সহ সভাপতি করা হয়েছে।
নতুন
৬ পরিচালকের মধ্যে ইফতেখার রহমান মিঠু, তানভির আহমেদ মিঠু, ওবায়েদ নিজাম ও
সালাউদ্দীন চৌধুরীকে ৪টি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া
হয়েছে। মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান হয়েছেন তানভীর আহমেদ টিটু।
বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ওবায়েদ নিজামকে। এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তানভির আহমেদ টিটু।
আম্পায়ার্স
কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। আর কাজী ইনামের বদলে
সিসিডিএম প্রধান পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সালাউদ্দীন চৌধুরী। আর সিসিডিএমের
সাবেক প্রধান কাজী ইনামকে দেওয়া হয়েছে বাংলা টাইগার্সের দায়িত্ব।
মাঝে
বোর্ডে কোনো পরিচালক পদে না থাকলেও এবার দীর্ঘদিন পর টুর্নামেন্ট কমিটির
প্রধান হয়েছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। ক্রিকেট অপস থেকে সরে যাওয়া আকরাম
খান পেয়েছেন স্পেশালিটি ম্যানেজমেন্ট ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড কমিটির
দায়িত্ব। মার্কেটিং এন্ড কমার্শিয়াল ও বিপিএল গভর্নিং কমিটি পদের একজনই
চেয়ারম্যান, তিনি শেখ সোহেল।