নিজস্ব
প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু
হচ্ছে মঙ্গলবার। এর আগে গত সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া হলেও
এবার নাগরিকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী,
গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশে বুস্টার ডোজ
হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। যাদের টিকা দেওয়া হবে তারা এসএমএস
পাবেন।
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা জানান
স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত
মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, করোনা
মোকাবিলায় গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু
হয়। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরই মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপ প্রস্তুত করা
হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। দেশে টিকার কোনো সংকট নেই।
অনুষ্ঠান
শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর
বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ অনেকটা প্রস্তুত। আগামীকাল আপাতত ঢাকার কয়েকটি
কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে। এসএমএস দেওয়ার পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে
দেশের অন্যান্য স্থানেও শুরু হবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের
নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে ১৭ জন প্রবীণ নাগরিককে দিয়ে শুরু হয় বুস্টার ডোজ
কার্যক্রম। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নেন কুর্মিটোলা জেনারেল
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা।
সেদিন আরও বুস্টার
ডোজ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও
প্রাণিসম্পমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
১৯
ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা
কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। আইসিটি মন্ত্রণালয় ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়
নিয়েছে। এরপর থেকে অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে।
গত
২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। ওই সময় দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেন কুর্মিটোলা
জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা।