Published : Wednesday, 29 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 29.12.2021 12:20:06 AM
স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা জেলা সিএনজি শ্রমিকদের সংগঠন শ্রমিক ইউনিয়নের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর টমসনব্রিজ কোটবাড়ি সড়কে সিএনজি স্ট্যান্ডে মালিকদের সাথে শ্রমিকদের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উনাইশার গ্রামের শ্রমিক তুহিন বকসি, গোবিন্দপুর এলাকার আবদুল হাই, কোটবাড়ী এলাকার সিএনজি চালক তাজুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। এসময় শ্রমিকরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন শ্রমিক সংগঠন করে আসছি। আমাদের সংগঠন (রেজি: নং ১৫৬৯) শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে। আমরা শ্রম দপ্তরের নিয়ম মেনে তিন বৎসর পরপর ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করি। আমাদের কাযক্রম পরিচালনা করার জন্য আমরা বিভিন্ন স্ট্যান্ডে কেরানী নিয়োগ দেই। কেরানী আমাদের সংগঠনের ফান্ডে কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্ট্যান্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ জমা করেন। সেই অর্থই শ্রমিকদের কল্যাণে নানা দুর্ঘটনা ও অসুস্থ্য অবস্থায় খরচ করা হয়। যাহা কুমিল্লা তথা দেশবাসী অবগত রয়েছে। এই টাকা কোন ব্যক্তি বা সংগঠন আত্মসাৎ করার সুযোগ নেই। প্রত্যেক মাসের হিসেব প্রত্যেক মাসে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। সংগঠনের হিসাবে গড়মিল হলে যে কোন সময় আমরা শ্রমিকরা জরুরী সভা বা মিটিং করে নোটিশের মাধ্যমে পদত্যাগের ব্যবস্থা করি। আমাদের সংগঠনের কোন নেতা বা শ্রমিক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নেই। বিভিন্ন জায়গায় ইজারার নামে টাকা নিলেও আমরা ঐ সকল ব্যক্তিদের নিকট থেকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাইনা। কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন কুমিল্লা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে সব সময় শ্রমিকদের পাশে থাকে। ইদার্নিং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্ট্যান্ড পরিচালনা করে বৈধ সংগঠনের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাহা ঠিক নয়। ইহা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে সংগঠনের নামে মিথ্যাচার করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি তারা আমাদের সংগঠনের নেতাদের নামেও অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের কোন কেরানী মাঠ পর্যায়ে কোনো যুক্ত থাকলে অভিযোগ পেলে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারপরও যদি কেউ অনিয়ম করে তার জন্য নেতা বা সংগঠন দায়ী থাকবেনা। সভায় শ্রমিকরা আরো বলেন, আমরা শ্রমিক ইউনিয়নকে কেরানীর মাধ্যমে দিনে একবার ২০/- টাকা প্রদান করে থাকি। আর মালিক সমিতিকে দিনে একবার ১০ টাকা মোট ৩০ টাকা প্রদান করে থাকি। যাহা সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ’র কাছে জমা ও খরচ হয়ে থাকে। এর বাহিরে কোনো টাকা উত্তোলন হয় না বা কোন ব্যক্তি খরচ করার সুযোগ নেই। আমরা সদস্য হয়ে সংগঠনকে এই চাঁদা দিয়ে থাকি। আমাদের থেকে কেউ জোর করে টাকা নেয় না। আর এই টাকা সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ’র মাধ্যমে জমা হয়ে থাকে।
জাঙ্গালিয়া এলাকার মিজান বলেন, আমাদের সংগঠনের স্থান সমূহ কান্দিরপাড় ,টমছমব্রীজ ও কুমিল্লা মুখী । শহরের বাহিরে আমাদের সংগঠনের কোন প্রকার কাযক্রম নাই। এর বাহিরে যেন কেউ সংগঠনের নামে কার্যক্রম পরিচালনা না করে এবং আমাদের সংগঠনের নেতাদের উপর দায় না চাপানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি প্রশাসনকেও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।