Published : Wednesday, 29 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 29.12.2021 12:20:16 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি গত ২৩ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় নিহত ও আহতদের তালিকা জমা দিতে বলেছে আদালত।
সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী দেশের লঞ্চ ও জাহাজসহ সব নৌযানের ফিটনেস, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও নিরাপত্তা সামগ্রীর হালনাগাদ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয় বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় অভিযান-১০। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে পুলিশ। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮০ জন।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং নৌ দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি অবস্থার উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আলাদাভাবে রিট করেন।
নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও গুরুতর আহত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্র্বতী নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ একটি আবেদন করেন।
এছাড়া আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্র্বতী আদেশ চেয়ে অন্য আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার।
মঙ্গলবার এক সঙ্গে দুই রিটের শুনানি করে আদেশ দেয় আদালত। সৌমিত্র সরদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আনিসুর রহমান রায়হান, আনিচুর রহমান। আর ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান পরে সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত বলেছে, অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ যদি আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন বলে মনে করেন, তাহলে বরিশাল, ঝালকাঠি ও বরগুনার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। জেলা প্রশাসক সেই আবেদন বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”