Published : Wednesday, 29 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 29.12.2021 12:20:19 AM
স্টাফ
রিপোর্টার: কুমিল্লা মহানগরের বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা আইটি বিশেষজ্ঞ
শাহাদাত আলী খান সাবাতের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের
দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বেলা ১১ টায় বিষ্ণুপুর পানির
ট্যাকিং এলাকার অনন্যা বাসায় ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে লিখিত বক্তব্য
উপস্থাপন করেন শাহাদাতের মা কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে রাফিয়া আক্তার বলেন, ২০১৯
সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২ টার পর থেকে শাহাদাত আলী খান সাবাতকে খুঁজে
পাচ্ছিলাম না পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাবাত
এর বাবা লিয়াকত আলী খান কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি
(জিডি) করেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ওপর
দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর পালপাড়া সেতুর নিচ থেকে আমার ছোট ছেলে শাহাদাত
আলী খান সাবাতের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি
চিকিৎসক লিয়াকত আলী খান এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের
করেন। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহের মধ্যে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি তদন্ত
পিবিআইকে দেওয়া হয়। পিবিআই ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে
কুমিল্লা নগরের ফৌজদারি এলাকা থেকে চান্দিনা উপজেলার মহারং এলাকার আবদুস
সামাদের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম লিটন কে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ তাঁকে
১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর তিন মাস কারাগারে থেকে
লিটন জামিনে বের হন। এর বাইরে আমরা মামলার কোন অগ্রগতি দেখছি না। বর্তমানে
ওই মামলার তদন্ত চলছে। পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান এই মামলার
তদন্ত করছেন। এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা
করা হয় বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত এ মামলার
আসামি শনাক্ত হয়নি। মামলায় এক ব্যক্তি ছাড়া কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়নি। বর্তমানে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব
ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। আগামী ১ জানুয়ারি সাবাত হত্যার দুই বছর
পূর্ণ হচ্ছে। আমরা এখনও এই মামলার বিচার পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে
উপস্থিত ছিলেন শাহাদাতের বাবা চিকিৎসক মো. লিয়াকত আলী খান ও একমাত্র মেয়ে
ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক শারমিন
খান ।
চিকিৎসক মো. লিয়াকত আলী খান বলেন,‘ দুই বছরেও মামলার কোন আসামিকে চিহ্নিত না করা দুঃখজনক।’
শাহাদাতের
একমাত্র বোন ও কুমিল্লার ময়নামতি ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের
সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক শারমিন খান বলেন,‘ ভাইয়ের স্মৃতি নিয়ে বসে আছি।
আমরা এর বিচার চাই।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, পিবিআই মামলার তদন্ত করছে। এখনও বলার মতো কিছু নেই।