ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ডজন পূর্ণ হলো আবাহনীর
Published : Monday, 10 January, 2022 at 12:00 AM
ডজন পূর্ণ হলো আবাহনীরফেডারেশন কাপে আবাহনীর ১২তম শিরোপা
না, অঘটনের জন্ম দিতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ফেডারেশন কাপে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে ওঠা পুরনো ঢাকার দলটি শেষ লড়াইয়ে হেরে গেছে আবাহনীর কাছে।
রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আবাহনী ২-১ গোলে জিতে ফেডারেশন কাপে নিজেদের তুললো আরো উপরে। ১২তম ট্রফি জিতে তারা মোহামেডানকে পেছনে ফেললো আরো এক ধাপ।
আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নায়ক বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান তারকা ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ও রাকিব হোসেন। এই দু’জনের গোলে আবাহনী দুই আসর পর পুনরূদ্ধার করলো ফেডারেশন কাপের ট্রফি। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আবাহনীর এএফসি কাপের টিকিটও নিশ্চিত হলো।
ফাইনালে রহমতগঞ্জকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে জ্বলে ওঠার আরেকবার উদাহরণ দিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা এই ফুটবলার। তার গোলেই আবাহনী এগিয়ে যায়। দুই মৌসুম আগে বসুন্ধরা কিংস এই কলিন্দ্রেসের গোলে ফাইনালে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
১২ মিনিটে প্রথম সুযোগ এসেছিল রহমতগঞ্জের সামনে এবং তা ছিল গোল হওয়ার মতোই। আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল বক্সের বাইরে এলে তার মাথার ওপর দিয়ে শট নিয়েছিলেন নাইজেরিয়ান সানডে। কিন্তু তার শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
২ মিনিট পর আবার সুযোগ রহমতগঞ্জের সামনে। অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙ্গে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ঘানার ফিলিপ। এবার ভুল করেননি আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল- দৌড়ে এনে বল ক্লিয়ার করেছেন তিনি।
২৮ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু যে শট তিনি নিলেন তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ৩৬ মিনিটে কিরণের কর্নার থেকে এনামুলের হেড অল্পের জন্য বাইরে না গেলে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে পারতো।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে রাকিবের পাস থেকে বক্সের মাথায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে গোল করেন কলিন্দ্রেস। ৬৪ মিনিটে নুরুল নাইম ফয়সালের শট রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রকিবুল হাসান তুষার ফিস্ট করলে বল পেয়ে যান রাকিব। কোনো ভুল করেননি তিনি, ঠান্ডামাথায় প্লেসিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিব।
৭০ মিনিটে ব্যবধান কমান রহমতগঞ্জের ঘাইনাইয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপ। একক দক্ষতায় আবাহনীর গোলরক্ষককে পরাস্ত করে প্লেসিংয়ে গোল করেন এই আফ্রিকান।
সমতায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেও আর আর পারেনি রহমতগঞ্জ। আবাহনী ২-১ ব্যবধানটা ধরে মৌসুমের দ্বিতীয় ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছে। এর আগে স্বাধীনতা কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকাশী-নীলরা। এখন তাদের সামনে ট্রেবল জয়ের হাতছানি।