Published : Sunday, 9 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 09.01.2022 1:24:47 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: করোনাকালেও কুমিল্লার মানুষ বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছে
উল্লেখ করে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লাকে কোনোভাবেই পিছিয়ে
দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা (কুমিল্লা থেকে) এ বছর সর্বোচ্চ র্যামিটেন্স
দিয়েছি। ফসল উৎপদানেও এগিয়ে কুমিল্লা। এ বছর আমরা কুমিল্লা থেকে আমাদের
চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিকটন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন করেছি।
কুমিল্লা থেকে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ মাছ উৎপাদন করে আমরা জাতিকে
দিয়েছি। এই কুমিল্লাকে নিয়ে আমার গর্ব হয়। এজন্যই আমি সবসময় বলি- কুমিল্লা
এগুলেই এগুবে বাংলাদেশ।
গতকাল কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কাউন্সিলর কাপ
ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি
বাহার এসব কথা বলেন।
‘কুমিল্লা’ নামেই বিভাগ ঘোষণার দাবি জানিয়ে এমপি
বাহার বলেন- যারা চক্রান্ত করে কুমিল্লাকে ‘মেঘনা’ বানাতে চান- তাদেরকে
বলি; এই কুমিল্লা ই গর্বিত কুমিল্লা। এই কুমিল্লার পরিচয় খুনি মোশতাককে
দিয়ে নয়। এই বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটির পরিচয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর
পরিচয়ে পরিচিত। এই মাটির মালিক বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই ‘ভূমিপুত্র’। এই
কুমিল্লা মোশতাকের না। এটা বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কুমিল্লা, শচীন
দেববর্মণের কুমিল্লা। এই কুমিল্লা আয়েত আলী খানের, ওস্তাত আলাউদ্দিন খানের।
এই কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেছার। এই কুমিল্লা কাজী নজরুলের কুমিল্লা। এই
টাউন হলে জাতির জনক বার বার এসেছেন। এই টাউন হলে আমাদের প্রিয় নেত্রী বার
বার এসেছেন। এই আয়োজন থেকে আবারও আমাদের প্রিয় নেত্রীকে বলতে চাই ‘আমাদের
৬০ লাখ মানুষের হৃদয়ের দাবি, কুমিল্লা নামে বিভাগ দেন। এই কুমিল্লা ই
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। এই কুমিল্লাকে নিয়ে আমি গর্ব করি। এই
কুমিল্লার অসংখ্য সন্তান জাতির জন্য কাজ করেছে, করছে। কুমিল্লাকে পিছিয়ে
দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কুমিল্লা এগুলেই এগুবে বাংলাদেশ। সকলে একত্রে থেকে
৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো- ইনশাল্লাহ। ৪১ এর পর আমাদের
সন্তানরা বলবে- ‘এ’তে আমেরিকা, ‘বি’তে বাংলাদেশ, ‘সি’তে কুমিল্লা।
তিনি
বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে আমরা একজন ক্রিকেট প্লেয়ার তৈরি করতে পারি
নাই। একজন প্রধান বিচারপতি তৈরি করতে পারি নাই। একজন সেনাপ্রধান তৈরি করতে
পারি নাই। জাতির জনক স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাঙ্গালি প্রধান বিচারপতি হবে,
সেনা প্রধান হবে, কেবিনেট সেক্রেটারি হবে। বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে
পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলের ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে
স্বপ্ন দেখেছিলেন- আমরাও সেই একই স্বপ্ন দেখতাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা
মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গড়ার কাজে
নিয়োজিত ছিলেন- তখন ঘাতকরা তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এরপর আমরা অনেক
পিছিয়ে গিয়েছিলাম। জাতির হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই সময় জাতির জনকের
কন্যা জাতির সামনে প্রত্যাশার আলো জ্বালিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে
যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা প্যান্ডামিকের কারণে আমরা এখন কিছুটা থমকে
গেছি। তারপরও বাংলাদেশের অগ্রগতি থামেনি। আমরা করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম
হয়েছে। কিন্তু এখন আবার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি
মানতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে। ২২ সালের আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি
চলবে। উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়ন হবে।
এমপি বাহার বলেন, আমাদের আর
পেছনের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। দুইদিন আগে নিউ জিল্যান্ডে কি হয়েছে
দেখছেন। তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা তাদেরকে হারিয়েছে। এভাবেই
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আমাদের পথ কেউ রুদ্ধ করতে পারবে না। কারণ আমাদেরকে
স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ প্রজন্মের
সন্তানদের স্বপ্ন দেখান প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা। ভিশন ২০৪১।
৪১’র বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো আমরা। সেই বাংলাদেশের নাম লিখা হবে আমেরিকার
সাথে, ইংল্যান্ড-অষ্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ২৩টি ধনি দেশের সাথে আমাদের নাম
লেখা হবে। এটাই হবে বাংলাদেশের বিজয়।