Published : Wednesday, 12 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 12.01.2022 12:17:53 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ৫ জানুয়ারী কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয় ভোট গ্রহণ। ওই ভোট গ্রহণে উপজেলার কেরনখাল ইউনিয়নের দোতলা দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন এক মেম্বার প্রার্থী।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় উপজেলার দোতলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ ওয়ার্ড মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুস ছালাম। তিনি জানান, কেরনখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ মেম্বার পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি ফুটবল প্রতীকে ৪৯৪ ভোট পাই এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বি আরও ৪ প্রার্থীর মধ্যে আপেল প্রতীক প্রার্থীও ৪৯৪ ভোট পান। প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্যরা ৪ বার গণনার পর আমাদের দুইজনের সমপরিমান ভোট পান। কিছুক্ষণ পর প্রিজাইডিং অফিসার কারচুপি করে আমার ২ ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করে ফলাফল কেন্দ্রে না দিয়ে উপজেলায় নিয়ে যান। আমি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আমার কেন্দ্রের মেম্বার পদের ব্যালট পুণ:গণনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ওই প্রার্থীর এজেন্ট শিবু আচার্য্য জানান, যখন দুই প্রার্থীর সমান ভোট পায় তখন প্রিজাইডিং অফিসার ফুটবল প্রতীকের বান্ডেলগুলো আবারও গণণার নির্দেশ দেন। তখন তারা ফুটবল প্রতীকের ব্যালটগুলো গুনে আরও ২টি বাতিল বলে ঘোষণা করেন। তখন আমি আপেল প্রতীকের ব্যালটগুলো পুণঃগণনা ও পুণঃবাছাই করতে অনুরোধ করলে তারা আমার কোন কথা শুনেননি। এদিকে, ওই কেন্দ্রে সর্বমোট ১ হাজার ২৯৯ ভোট গ্রহণ করে সাধারণ মেম্বার পদে বৈধ ভোট ১ হাজার ২০৩ ভোট দেখানো হয়। আর ৮৮টি বাতিল ভোট ঘোষণা করা হয়। পরে আরো দুইটি ভোট বাতিল ঘোষণা করে। আমাদের হিসেবে বাতিল ভোট ৯০টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে ৯৬টি বাতিল ভোট কোথা থেকে আসলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের বিশ্বাস- গণনার সময়ে কারচুপি করে আপেল প্রতীককে বিজয়ী করতে নানা ষড়যন্ত্র করেছেন প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা। আমরা ওই কেন্দ্রের মেম্বার পদের ব্যালটগুলো পুণঃগণনার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা আব্দুর রব, মোতালেব হোসেন, হারিজ মিয়া, রুবেল মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, খোকন মিয়া প্রমুখ।