আগামী ১৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়ে রাখলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আগে ব্যাট করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে বৃষ্টি বাধার মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয়েছে তারা। ফলে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ যুব দল। নিয়মিত ওপেনার মাহফিজুল ইসলামকে বিশ্রাম দিয়ে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় আরিফুলকে। আরিফুল ৫২ বলে ৪০ রান করলেও আরেক ওপেনার ইফতেখার হোসেন ব্যাট-প্যাচেই রয়ে গেছেন। অভিজ্ঞ প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও রান পাননি। তবে আইচ মোল্লার অনবদ্য ৮২ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় আইচ নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া রাকিবুল ৪৫ বলে ৩৬ এবং রিপন মণ্ডল ২৬ বলে ৩৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেললে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৭ রান পায় যুব দল।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের কনোর মিশেল সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ২টি উইকেট নিয়েছেন ম্যাথিউ স্কনকেন।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টিতে খেলা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলে নির্ধারিত হয় নতুন লক্ষ্য। কিন্তু ৩৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা অলআউট হয়ে যায় ১১০ রানে। বাংলাদেশের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ের ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতেই পারেনি। স্টিভেন সউল সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন।
রাকিবুল তার সাত বোলারদের ব্যবহার করে সাফল্য তুলে নিতে পেরেছেন। নাঈমুর রহমান নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল, তানজিম হাসান সাকিব ও মুসফিক হাসান।
আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ। ১৬ দলের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ২০ ও ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ যথাক্রমে কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।