উগান্ডার এক অভিবাসী নারী কর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তার নিজ দেশেই যেন তার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটে করে তিনি ফিরছিলেন। কিন্তু মাঝ আকাশেই তার প্রসব বেদনা শুরু হয়।
ডাকা হয় এক চিকিৎসককে। এরপর ফ্লাইটেই শিশুর জন্ম হয়। কানাডিয়ান ওই চিকিৎসক এই ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিশুটিকে
‘মিরাকল বেবি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ঘটনা গত ৫ ডিসেম্বরের। তবে ডা. আয়েশা খতিব টরেন্টোয় কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বেশ ব্যস্ত থাকায় চলতি সপ্তাহে তিনি সেই ঘটনার কিছু ছবি প্রকাশ করেন। এরপর তা সবার নজরে আসে।
ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক ডা. আয়েশা খতিব জানান, দোহা থেকে উগান্ডার এনতেবে শহরগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের ফ্লাইটে ওঠার প্রায় ১ ঘণ্টা পর তার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। আমি গিয়ে দেখতে পেলাম যে, অনেক লোক ওই অসুস্থ নারীর আশপাশে ভিড় করছিলেন। তখন তিনি ভেবেছিলেন এটা খুব জটিল সময়, কেউ হয়তো হার্ট অ্যাটাক করেছেন। যখন আমি ওই নারীর কাছে গেলাম, দেখলাম তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং তার প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে।’
অন্য দুই যাত্রীর সহযোগিতায় তিনি ওই নারীর চিকিৎসা শুরু করেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন অনকোলজির নার্স এবং একজন ডক্টর উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) শিশু বিশেষজ্ঞ।
জন্মের পরই শিশুটি তীব্র চিৎকার দিয়ে ওঠে। ডা. খতিব বলেন, আমি শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করেছি। সে পুরোপুরি সুস্থ আছে। তার মায়ের শারীরিক অবস্থাও বেশ ভালো আছে।
আমি সবাইকে বললাম যে, একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। এই খবরে পুরো বিমানেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সবাই তালি বাজিয়ে নতুন শিশুকে স্বাগত জানান।
ডা. বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে শিশুটির মা তার সন্তানের নাম তার নামেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়েশা খতিবের নামের সঙ্গে মিল রেখে শিশুটির নাম ‘মিরাকল আয়েশা’ রাখা হয়েছে।
ডা. আয়েশা খতিব খুশি হয়ে মিরাকেল আয়েশাকে একটি স্বর্ণের চেন উপহার দিয়েছেন। ওই চেনের সঙ্গে থাকা লকেটে আরবিতে আয়েশা লেখা আছে।
সূত্র : বিবিসি