কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনায় আশংকাজনক পাঁচ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে। বিষ্ফোরণের ঘটনায় এপর্যন্ত ১৬ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনই শিশু। যার মধ্যে পাঁচ জনকে ঢাকায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের স্বজনরা বলছে, পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হওয়ায় বেসরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব না এদের কারোরই। আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গুরুতর আহতদের অধিকাংশের পরিবারেরই অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। তাদের কেউ দিন মজুর, কৃষক কিংবা রিকশা চালকের পরিবারের সদস্য। এছাড়া বেলুন বিক্রেতার পরিবারের ৬ সদস্যও এই দুর্ঘটনায় আহত। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক সাজেদা খাতুন জানান, শুক্রবার সকালে চিকিৎসকরা দেখার পর যাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তাদেরকে ঢাকা মেডিযকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। নাঙ্গলকোট উপজেলার এসি ল্যান্ডকে আহ্বায়ক করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ছয় জন আহতকে ১০ হাজার টাকা করে প্রাথমিক অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আরো জানান, তদন্ত কমিটি ৩ দিনের মধ্যে এই দুর্ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। এছাড়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা আহতদের সার্বিক খোঁজ খবর নেবেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখান থেকে বিষ্ফোরিত সিলিন্ডারটির ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ এবং আরো অন্যান্যদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল বিকালে কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে বিরুলি গ্রামে বেলুন ফোলানোর সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে ১০ শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ২১ জনই কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।