ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নাঙ্গলকোটে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ
দুই শিশু আইসিইউতে চোখ হারিয়েছে ১জন
Published : Sunday, 16 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 16.01.2022 12:52:14 AM
 দুই শিশু আইসিইউতে চোখ  হারিয়েছে ১জনতানভীর দিপু:
নাঙ্গলকোটে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে আশংকাজনক দুই শিশুকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তারা হলো নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের সালাউদ্দিনের ছেলে সাব্বির (১০) ও ফারুকের ছেলে সাইফুল (১২)। এছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ভর্তি  নাহিমের একটি চোঁখ অস্ত্রোপাচার করে ফেলে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। সে মোকরা ইউনিয়নের বিরুলি গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। এপর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ৭ জনকে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আছে সাব্বির, সাইফুল, আব্দুর রব, আনোয়ার ও বাছির। ঢাকা মেডিকেলে আছে ইমন এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছে নাহিম।
আইসিইউতে চিকিৎসা নেয়া সাইফুলের বাবা সিএনজি চালক ফারুক আহমেদ জানান, গতকাল কুমিল্লা থেকে আনার পরই সাব্বির ও ফারুককে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তাদের কি অবস্থা চিকিৎসকরা আমাদের কিছু জানায় নি। আমরা অপেক্ষায় আছি। আব্দুর রব, আনোয়ার ও বাছির শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। তিনি জানান, ওই দিন বিকালে দাদীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বেলুন কিনতে গিয়েছিলো সাইফুল।
এদিকে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনায় মৌকরা ইউনিয়নের তুলাতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আবদুল্লা আল নাহিম হারিয়েছে তার ডান চোঁখ। নাহিমের মামা মোবারক হোসেন মাসুদ জানান, দুই বারে অস্ত্রোপাচার করে নাহিমের ডান চোঁখ থেকে দু’টি পাথর বের করা হয়েছে। বিষ্ফোরণের সময় দু’টি পাথরই তার চোঁখে ঢুকে ভেতরের সব ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মোবারক আরো জানান. গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরনের দিন নাহিম আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে বেলুন ফোলানো দেখছিলো আর বেলুনের সুতা বাঁধছিলো। বেলুনের ভেতরে ঢুকিয়ে শব্দ তৈরী করার জন্য সামনে যেসব পাথর গুড়ো রাখা হয়েছিলো বিষ্ফোরণের সময় সেগুলোই শিশুদের চোঁখে মুখে ঢুকে আহত করে।  
গত বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিরুলি গ্রামে বেলুনে ভর্তি করার গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে ১০ শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই আশংকাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।