বগুড়ার শেরপুরে মোছা. লিজা খাতুন নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী মো. সোহেল রানাকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিন বছর আগে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের খামারকান্দি ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছা. লিজা খাতুনের। বিয়ের পর তাদের সংসারে আব্দুর রহিম নামের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সোহেল রানা পেশায় একজন শ্রমিক। প্রতিদিনে মজুরির যে টাকা পান তা দিয়েই সংসার চলে। তাই সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এ কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ৭০ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জেরধরে রোববার সকালে লিজা খাতুনকে মারধর করেন স্বামী সোহেল রানা। পরে শয়নকক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটক সোহেল রানা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, শনিবার রাতে তার কাছে স্ত্রী লিজা খাতুন ৭০ টাকা চান। সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেই। কিন্তু সকাল বেলা আবার টাকা চাইলে রাতের বেলায় দেওয়া টাকার কথা জানতে চাই। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় তাকে চড় থাপ্পড় মেরে চলে যাই। বাড়ি এসে দেখি স্ত্রী লিজা খাতুন গলায় ফাঁস দিয়েছে।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সোহেল রানকে আটক করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখন বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল এ রহস্যের জট খুলবে।