দলে সুপারস্টার না থাকলেও ‘সুপার’
ক্রিকেট উপহার দেবে সিলেট সানরাইজার্স- অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও কোচ
মারভিন ডিলন এমন প্রত্যাশার কথাই শুনিয়েছিলেন। আজ (শনিবার) নিজেদের প্রথম
ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে কিছুটা হলেও চমকে দিয়েছিল সিলেট।
ব্যাটিংয়ে নিজেরা ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে কুমিল্লার শক্তিশালী ব্যাটিং
লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। যদিও অল্প পুঁজি নিয়ে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি
সিলেট, তবে মাত্র ৯৬ রান করেও ঘাম ঝরিয়েছে কুমিল্লার। সহজ লক্ষ্যে খেলতে
নেমে ৮ বল আগে ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে
আগে ব্যাট করে সিলেট ৯৬ রান সংগ্রহ করে। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে
কুমিল্লাকে চেপে ধরেন সিলেটের বোলাররা। কুমিল্লার বড় তারকা ফাফ ডু প্লেসি
কিছুই করতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের বেশ কিছু বল ব্যাট-বলে সংযোগই করতে
পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটার। ৭ বলে ২ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হন তিনি।
মুমিনুল হক ও ইমরুল কায়েস আগ্রাসী মুডে থাকলেও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেই
বিদায় নেন। মুমিনুল ১৫ ও ইমরুল ১০ রান করেন। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ভালো
করেছেন নাহিদুল ইসলাম। তার ১৬ বলে ১৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে জয়ের পথ তৈরি
হয় কুমিল্লার। এছাড়া করিম জানাত খেলেন ১৩ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
সিলেটের
প্রত্যেক বোলারই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। অধিনায়ক মোসাদ্দেকের সবচেয়ে কৃপণ
বোলিং। ৪ ওভারে ১০ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। তবে সবচেয়ে বেশি উইকেট
শিকার করেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে তার
শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া সোহাগ গাজী ২টি ও তাসকিন আহমেদ নেন একটি উইকেট।
এর
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট শুরুটা করে হতাশাজনক। তৃতীয় ওভারের শেষ
বলে দলীয় ৭ রানে ওপেনার এনামুল হকের বিদায়ে শুরু হয় একের পর এক উইকেট পতন।
কুমিল্লার বোলিংয়ের সামনে সিলেট বড় জুটি গড়তে পারেনি। ফলে ১৯.১ ওভারে ৯৬
রানে থামতে হয় সিলেটকে। স্কোরবোর্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে
অতিরিক্ত খাত থেকে! দলের সর্বোচ্চ স্কোরার কলিন ইনগ্রাম। ২১ বলে ৩ চার ও ১
ছক্কায় ২০ রান করেন তিনি। রবি বোপারার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
কুমিল্লার
বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম ২টি করে
উইকেট নেন। এছাড়া তানভীর ইসলাম, মুমিনুল হক ও করিম জানাত একটি করে উইকেট
নিয়েছেন। বোলিয়ে ২ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ১৬ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার
জেতেন অফ স্পিনার নাহিদুল।