নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি চায় সব রাজনৈতিক দল
Published : Sunday, 23 January, 2022 at 12:00 AM
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কোনো আইন না থাকায় দেশে তৃতীয়বারের মতো ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ইসি গঠন নিয়ে ২০১১ সালে প্রথম সংলাপ শুরু করেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এবারের সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দল।
সংলাপ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে এরই মধ্যে সরকার ইসি গঠনে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সবমহলে গ্রহণযোগ্য একটি আইন করে ওই আইনের অধীনে নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শক্তিশালী ইসি গঠনের জন্য দলগুলো নানা প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আইনে এসব প্রস্তাব কোনো ভূমিকা রাখবে না বরং আগের মতো সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া গ্রহণযোগ্য আইনের জন্য সবার সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিশিষ্টজনরা।
এটি আসলে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নয়, এটা সার্চ কমিটি গঠনের আইন হয়েছে। এটাতে অতীতে যেরকম হয়েছে আবারও সেরকমই হবে। আম গাছ রোপণ করলে তো আর কাঁঠাল গাছ পাওয়া যাবে না।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।’ শুধু তাই নয়, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সংবিধান ও আইনের অধীন হওয়ার কথাও বলা রয়েছে।
কিন্তু অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিগত ৫০ বছরে কোনো সরকারই আইন প্রণয়ন করেনি। ফলে আইনি ভিত্তির মাধ্যমে কোনো কাঠামো ও বাধ্যবাধকতা না থাকায় ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধানের জন্য স্বাধীন নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল। ফলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি। এতে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জাসদ) মোট ২৪টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেন।