চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গলাকাটা অবস্থায় আব্দুর রশিদ নামে একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় তার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের শরতনগর গুড্ডি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ব্যক্তি উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের শরৎনগর গুড্ডি পাড়ার সাজ্জাদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অনেক দিন আগেই জুলেখা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আব্দুর রশিদের। ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ দুই বছর আগে জুলেখা পাশের বাড়ির একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যান। তখন আবার বিয়ে করেন আব্দুর রশিদ। সম্প্রতি ফিরে আসেন জুলেখা বেগম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নতুন স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। গতকাল আনতে গেলেও তিনি আসেননি। আর সকালে আব্দুর রশিদকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
আহত আব্দুর রশিদের ভাই জাকারিয়া বলেন, রতেই আমার ভাইকে ভালো দেখেছি। এই বাড়িতে আব্দুর রশিদ তার স্ত্রী ও এক সন্তান ছাড়া আর কেউ থাকে না। আর সকালেই শুনছি গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি।
আব্দুর রশিদের স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেয়েছিলাম। ঘরে গিয়ে দেখি গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছেন আমার স্বামী। আমি সবাইকে ডেকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা সবাই আমাকেই দায়ী করছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জানান, নতুন স্ত্রীকে গত দুইদিন আগে আনতে গিয়েছিলেন আব্দুর রশিদ, তবে তিনি আসেননি। গতকাল তালাকের কাগজ পাঠিয়েছেন। গুরুতর আহত আব্দুর রশিদকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জান্য স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আটক করা হয়েছে।