ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
১১ বছর পর শেরে বাংলায় সিডন্স
Published : Friday, 4 February, 2022 at 12:00 AM
দীর্ঘ দিন পর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পা পড়লো জেমি সিডন্সের। ঠিক ১১ বছর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের অবকাঠামো একই রকম ছিল। পার্থক্য বলতে প্রেসিডেন্ট বক্সের নিচে খোলা জায়গাটা। বৃহস্পতিবার কালো জিন্স ও নীল রঙের টি-শার্ট পরে প্রেসিডেন্ট বক্সের খোলা জায়গায় বসে বিপিএলের ম্যাচ উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই হেড কোচ।
 এই সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হয়তো পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এই মাঠেই তো ১১ বছর আগে অনেক স্মৃতিময় অধ্যায় কাটিয়েছেন! বিকালে সিডন্স যখন মাঠে আসেন, ততক্ষণে সিলেট সানরাইজার্স ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচটি শেষ হয়ে গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ দেখেছেন ঠিকই। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকায় খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেখার করার সুযোগ ছিল না।  
এদিন দুই দলে খেলা দুই ক্রিকেটার ছিলেন, যারা জেমি সিডন্সকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন। চট্টগ্রামের অধিনায়ক নাঈম ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয় তারই সময়ে, ২০০৮ সালের অক্টোবরে। অন্যদিকে একই বছর অভিষেক হয় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসেরও। পুরনো গুরুর সামনে নাঈম জ্বলে উঠতে না পারলে জ্বলে উঠেছেন ইমরুল। এদিন তার অধিনায়োকচিত ৮১ রানের ওপর ভর করেই কুমিল্লা ৯ উইকেটে চট্টগ্রামকে হারিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমরুল সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন। হয়তো পুরনো গুরুকে পেয়েই তার এমন আগ্রাসী ব্যাটিং।
মূলত ২০১১ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরই বাংলাদেশের অন্যতম সফল কোচকে বিদায় বলে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেবার সিডন্স থাকতে চাইলেও বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণে বিসিবি তাকে রাখেনি। দীর্ঘ সময় পর সেই কোচ আবার বাংলাদেশে ফিরলেও বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবেই কাজ করবেন।
এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘সিডন্সকে মূলত বিসিবির ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে যখন যেভাবে সুযোগ পাই, সেভাবেই ব্যবহার করবো। তবে আমরা চাই, সে জাতীয় দল নিয়েই বেশি কাজ করুক। তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে পারলে আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য ভালো হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বড় না হওয়ায় সিডন্স ঝুঁকে পড়েন কোচিংয়ে। ব্যাটিং কোচ হিসেবে তিনি সারা বিশ্বেই সমাদৃত। সিডন্স অতীতে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৭ সালে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার অধীনে চার বছরে বড় দলের বিপক্ষে দেশে-বিদেশে বেশ কিছু ওয়ানডে সিরিজ জেতা ছাড়াও ব্যাটিং বিভাগে তামিম-সাকিবরা যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন। সব মিলিয়ে তার অধীনে বাংলাদেশ ১৯ টেস্টের ২টি ও ৮৪ ওয়ানডের ৩১টিতে জিতেছে।