বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি দলের এখন এক নম্বর সমস্যার জায়গা ওপেনিং। দেশসেরা ওপেনার
তামিম ইকবাল স্বেচ্ছা নির্বাসনে। বাকিদের একজনও ফর্মে নেই।
সর্বশেষ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে ডুবিয়েছেন ওপেনাররা। লিটন দাস, নাইম শেখ, সৌম্য
সরকার-যাকেই খেলানো হয়েছে, তিনিই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
এর বাইরে
নাজমুল হোসেন শান্তর কথা ভাবা হচ্ছিল। তার অবস্থা আরও খারাপ। এবারের
বিপিএলে তার স্ট্রাইকরেট একশরও নিচে। ভরসা করার মতো একজন ওপেনারও এখন নেই
দলে।
টানা দুই বছর দুটি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। একটি গেছে, এ বছর আছে
আরেকটি। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল সাজাতে ওপেনিংটাই কি সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ?
জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের জবাব,
‘চ্যালেঞ্জের কিছু নাই। প্লেয়ার একজন দিলেই খেলবে আর হয়ে যাবে তেমন তো নয়।
দল তো এভাবে করলে হয় না। আসতে হবে তো আগে। আমি তো বানিয়ে দিতে পারব না।’
শুধু
ওপেনিং নয়, দলের প্রতিটা পজিশন নিয়েই আলোচনা হয়-জানিয়ে রাজ্জা বলেন, ‘একজন
ওপেনার চলে আসলে তখন হয়তো বিষয়টা অন্যভাবে দেখবেন। আর আলোচনা হচ্ছে না এমন
না। প্রত্যেকটা জায়গা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে যে, কোন জায়গাতে আরও বেটার করা
যায়। সব জায়গার জন্যই বেটারমেন্ট দেখা হচ্ছে।’
যারা আছেন তাদের
পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কিনা? এমন প্রশ্নে রাজ্জাকের কৌশলী জবাব, ‘ভালোর তো
আসলে শেষ নেই। যত ভালো হবে, তত টিমের জন্য ভালো। টিমের জন্য ভালো হওয়া
মানে বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য ভালো হওয়া। আসলে ক্রিকেট খেলার মধ্যে
আত্মতুষ্টির জায়গাটা কম। যত ভালো হোক না কেন, আরও অপশন থাকে।’
রাজ্জাক
বোঝানোর চেষ্টা করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও ৬-৭ মাস বাকি। এর মধ্যে
কোনো খেলোয়াড়ের ইনজুরি হতে পারে, কারও মধ্যে বেটার কিছু পাওয়া যেতে পারে।
তাই আগেভাগেই বিশ্বকাপের কথা ভেবে দল সাজানো আসলে কঠিন।