Published : Monday, 14 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 14.02.2022 12:38:28 AM
মোট পরীক্ষার্থী ৩৪০, শতভাগ পাশ,জিপিএ ফাইভ ১৯৯
গতকাল প্রকাশিত ২০২১ সালের উচ্চাধ্যমিক পরীক্ষায় নগরীর অন্যতম সেরা সুশৃংখল বিদ্যাপীঠ হিসেবে খ্যাত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ তাঁক লাগানো ফলাফল করেছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোট ৩৪০ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৯৯ জন। বিভাগ ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৬১ জন। এ বিভাগে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির শতকরা হার ৯০%। মানবিক বিভাগে মোট ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২৭ জন। এ বিভাগে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির শতকরা হার ৩৪ %। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট ৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ হয়েছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১০ জন। এ বিভাগে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির শতকরা হার ১৩ %।
জানা যায়, কলেজের শ্রেণিকক্ষে ক্লোজ সার্কিট ক্যামরা স্থাপন, কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন, অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন যেমন-প্রশ্ন পত্র মডারেশন, উত্তর পত্র মূল্যায়নে কোডিং সিস্টেম চালু, অনলাইনে রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ, ডাইনামিক ওয়েবসাইট চালু, ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা চালু,অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, মেধাবী শিক্ষক দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা,ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, কোচিং, প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধকরণ কওে শ্রেণিকক্ষে মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটি অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে।কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে “বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক(বিডিরেন) এর জুম ফ্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ক্লাস ও অনলাইন পরীক্ষাসহ বিভিনমুখ্নী কার্যক্রম চালু করে প্রতিষ্ঠানটি বেশ সফলতা পেয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক জানান,আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে পারি। শিক্ষার্ধীদেও আমরা সে ভাবে গড়ে তুলেছি।তাছাড়া সুশৃংখল প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে।২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হওয়ার পর নতুন উদ্যোমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা বেশ কিছু সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও বাস্তবমুখি কর্মকান্ডের কারণে আমরা বরাবরের মত এবারও ভাল ফলাফল পেয়েছি।ভাল ফলাফলের জন্য তিনি ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।