দেবীদ্বারে স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার
Published : Thursday, 17 February, 2022 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
রোগবালাইয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেকে হারবাল বা প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানেও ভেষজ বা উদ্ভিজ্জ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ঔষধ সামগ্রীর ব্যবহার সুপ্রাচীনকালের হলেও প্রচলিত হারবাল পণ্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি ওষধসামগ্রী আজ মানব কল্যাণে এক আশির্বাদে উপনীত।
বুধবার দুপুরে ‘ইন্ডেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদী)’র দেবীদ্বার ইন্ডেক্স হেলথ কেয়ারের শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সেমিনারে আলোচকরা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
দেবীদ্বার ইন্ডেক্স হেলথ কেয়ার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং মোঃ আনোয়ার পারভেজ খানের সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্ডেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদী)র নির্বাহী পরিচালক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়োগনেষ্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ময়নাল হোসেন, ‘ইন্ডেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ুর্বেদী)’র পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে ভেষজ বা উদ্ভিজ্জ প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার আজকের নয়। সুপ্রাচীনকাল থেকেই নানা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে ওষুধে। আমরা সবাই জানি যে কুইনিনগাছের ছাল থেকে তৈরি হয়েছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ। ব্যথানাশক মরফিন তৈরি হয় ওপিয়াম বা আফিম থেকে। হার্টের ওষুধ ডিজিটালিস বা অ্যাসপিরিনও আসে একধরনের উদ্ভিদ থেকেই। আমাদের একটি ওষুধ যে উৎস থেকেই তৈরি হোকনা কেন, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নানা পর্যায় পেরিয়ে তবেই অনুমোদিত হয়। আমাদের ‘ইন্ডেক্স ল্যাবরেটরিজ’র পন্যগুলোও বিশ^মানের এবং স্বল্পখরচে কিডনি, ডায়াবেটিস, পাইলস, হৃদরোগ, লিবার, যক্ষèা, হাপানী বা ম্বাসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে মানসম্পন্ন ৬০ প্রকার ঔষধ বাজারজাত করে আসছি।
সেমিনারে অন্যান্য আলোচকরা আরো বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারায় চিকিৎসা বিজ্ঞাননের অনেক উন্নতি ঘটেছে। এলোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক, থেরাপী ও হারবাল বা প্রাকৃতিক ঔষধের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার অব্যবস্থাপনা ও নজরধারীর অভাবে বাজারে মানহীন তথা অকার্যকর ও জীবন বিপন্নকারী নানা নকল ঔষধের প্রভাব রয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বৃতি দিয়ে আলোচকরা আরো বলেন, সুপ্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ রোগবালাইয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নানা ধরনের হারবাল বা প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করে আসছে। শুধু তা–ই নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও ‘ওভার দ্য কাউন্টার মেডিসিন’ হিসেবে জনপ্রিয় এই অলটারনেটিভ বা হারবাল পণ্যগুলো।
আমাদের দেশের কুইনান, অর্জুণ, বাসক, আকন, তুলসি, আফিম, কালিজিরা, আদা, জিরা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারচিনি, তেজপাতা, ইসুবগুলসহ নানাজাতের বনাজী বৃক্ষ- লতাপাতা এবং মধূ ও গুনাগুণ সম্পন্ন মসলার সমন্বয়ে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হারবাল আজ বিশ^স্বাস্থ্য সেবায় অভূতপূর্ব অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত নানা শারীরিক সমস্যায় এগুলো ব্যবহার করে।