শহিদুলকে বলেছি তুই পারবি: ইমরুল
Published : Sunday, 20 February, 2022 at 12:00 AM
ফাইনালের
মঞ্চ। একটু এদিক-সেদিক হলে হাত থেকে ফসকে যাবে ম্যাচ। নার্ভ ঠিক রেখে
ম্যাচ বের করে আনাই থাকে লক্ষ্য। আর ম্যাচ যদি শেষ ওভার কিংবা শেষ বল
পর্যন্ত গড়ায় তাহলে তো কথাই নেই।
ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার বিপিএল ফাইনালে ঠিক সেই পরিস্থিতিই এসেছিল। যেখানে
স্থানীয় পেসার শহিদুল ইসলামে আস্থা রেখে বাজিমাত করেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক
ইমরুল।
শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। ক্রিজে ছিলেন তৌহিদ
হৃদয় ও মুজিব উর রহমান।তৃতীয়বারের মতো ট্রফি ঘরে তোলার পর শেষ ওভারের
পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে ইমরুল জানিয়েছেন শহিদুলের প্রতি তার অগাধ
আস্থার কথা। অধিনায়কের টোটকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন শহিদুল। যার কারণে
তৃপ্তির হাসি ইমরুলের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।
বোলিংয়ের আগে ইমরুল
শহিদুলকে বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে হিরো হওয়ার সুযোগ আসে না। আমি বিদেশিদের
বিশ্বাস করতে চাই না! আমি চাই তুই এই ম্যাচ জিতাবি। আমি বলে দিয়েছিলাম কোন
বলটা কীভাবে করতে হবে, সে এটাই করেছে। যার জন্য আমারও ফিল্ডিং সেটাপ করতে
সুবিধা হয়েছে।’
শেষ বলে প্রয়োজন ৩ রান। শহিদুল ইসলামের বলে এক্সট্রা
কাভারে খেলেন তৌহিদ হৃদয়। ফিল্ডারের হাতে বল যাওয়াতে ১ রানের বেশি আসার কথা
নয়। ঠিক তাই হলো। ২ রান নিতে গিয়ে আউট হন মুজিব। পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়ানো
এই ম্যাচে ১ রানে জেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সব মিলিয়ে শহিদুলের ওভারে
বরিশাল নিতে পারে ৮ রান। ১ রানে জিতে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
জয়ের আগ মুহূর্তে তৌহিদ হৃদয়ের ক্যাচ ফেলেছিলেন
তানভীর। ওই বলে ২ রান যোগ হয় বরিশালের স্কোরবোর্ডে। ক্যাচ মিস হওয়ার পর
জয়ের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু শহীদুল মনোবল হারাননি। তার
গভীর মনোযোগ ও সঠিক সিদ্ধান্তে ম্যাচটা বাগিয়ে নেয় কুমিল্লা।
ইমরুল
বলেন, ‘ওই অবস্থায় ক্যাচ ড্রপ হলে অবশ্যই ভেতরে নেগেটিভ চিন্তা কাজ করবে। ১
বলে যদি ৮ রান থাকে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু ১ বলে যদি ৩ রান হয় যে
কোনোভাবে ম্যাচ বেরিয়ে যেতে পারে। আমি একটু আপসেট হয়ে গেছিলাম। ফাইনালি শেষ
বলটা ভালো জায়গায় করেছিল, যে কারণে সব সম্ভব হয়ে যায়।’