ইউক্রেন সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দায়ী করেছেন তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোগান বলেন, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেন সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।
এ সময় ইউক্রেনে রুশ হামলায় ন্যাটোর জবাবের সমালোচনা করে এরদোগান বলেছেন, ন্যাটো জোটের আরও দৃঢ়সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার পদক্ষেপকে নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়।
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ন্যাটোর অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ বৈঠকে একটা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, কিয়েভে উপকণ্ঠে কৌশলগত হোস্টোমেল বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে পশ্চিম দিক থেকে কিয়েভকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি রুশ বাহিনীর। রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভও বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ ইউনিটের ২০০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে।
তবে রাশিয়ার এসব দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীকে রক্ষা করতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানও কিয়েভে প্রবেশ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে টিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিনই পুতিন বাহিনী মূল লক্ষ্য পূরণে ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ৪৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ওয়েলস অনলাইন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ দাবি করার পর থেকে রাশিয়া এর বিরোধিতা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের হুমকি-ধামকি আমলে না নিয়ে ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। এমনকি সেখানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।