ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। হামলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানী কিয়েভের চারদিক ঘিরে ফেলেছেন রুশ সেনারা।
এ সময় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গোটা কিয়েভ। শনিবার ভোরে কিয়েভের একটি সেনাঘাঁটিতে রাশিয়া হামলা শুরু করেছে।
ইউক্রেনের এক সেনা কর্মকর্তা শনিবার ভোরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিয়েভে রুশ হামলার কথা জানান। খবর বিবিসির।
এদিকে কিয়েভের কাছে একটি বিমানঘাঁটি দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে কিয়েভ হস্তমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
কিয়েভের পেরেমহি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউক্রেনের একটি সেনাঘাঁটিতেও শনিবার মধ্যরাত থেকে তুমুল যুদ্ধ চলছে রুশ বাহিনীর সঙ্গে।
রাশিয়ার মুহুর্মুহু বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে রাজধানী কিয়েভ। ইউক্রেনের সেনারা বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কিয়েভের মেয়র সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন বক্সার ভিটালি ক্লিসকো সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছেন নগরবাসীকে।
এদিকে, পুতিন ইউক্রেনের সেনাসদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং দেশটির শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে বলেছেন।
কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী লড়াই করে মরতে প্রস্তুত, কিন্তু দেশের বা দেশের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে তারা কখনও দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে কিয়েভ হস্তমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
তারা দাবি করছে, এ সময় ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং রাশিয়ার পক্ষে কেউ হতাহত হয়নি।
ইউক্রেন সামরিক যান কিয়েভে চারপাশ থেকে ঢোকা রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করতে শহরে ঢুকেছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের ১৮ হাজার বন্দুক দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ককটেল বোমা বানানোর পদ্ধতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।