এবার ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে তহবিল গঠন করা হবে বলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
এর আগে ক্যানবেরার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, প্রাণঘাতী নয় এমন সামরিক সরঞ্জাম ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে। রোববার সকালে সিডনির একটি গির্জায় ইউক্রেনিয়ান-অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এরপরেই তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে সত্যের পক্ষেই থাকবে অস্ট্রেলিয়া। আমাদের ন্যাটো অংশীদার, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব ইউক্রেনকে সাময়িক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেবে। ফলে রাশিয়ার কোনো বিমান আর ইউরোপের আকাশসীমা ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে না। রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে কবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিমান চলাচলে যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া এবং এস্তোনিয়া তাদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে। এবার ইউরোপের অন্যান্য দেশও নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের প্রধান আর্থিক লেনদেন পরিষেবা সুইফট থেকেও রাশিয়াকে বাদ দিতে সম্মত হয়েছে জার্মানি ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এছাড়া ধনী রাশিয়ানদের গোল্ডেন পাসপোর্টও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে তৃতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।