ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ভর্তি বাণিজ্য: একাদশে ভর্তিতে তিনগুণ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ
Published : Monday, 28 February, 2022 at 12:00 AM
আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি ||
দাউদকান্দিতে সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, মফস্বল, পৌর ও উপজেলা এলাকায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাবদ নির্ধারণ করা হয়েছে (সেশন চার্জসহ) ১৫০০ টাকা। কিন্তু দাউদকান্দির কলেজগুলোতে নেওয়া হচ্ছে এর তিন গুন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে মনগড়া ফি আদায়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এখানকার অভিভাব ও শিক্ষার্থীগণ।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের ৫ অনুচ্ছেদের ৫.৫-এ উল্লেখ আছে, এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি হিসেবে উপজেলা-মফস্বল পর্যায়ে ১৫০০ টাকা গ্রহণ করা যাবে।
উপজেলার বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজ, গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রী কলেজ, হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে তিন গুন টাকা।
জাহিদুল নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, কৃষি কাজ করে খুব কষ্ট করে সন্তানকে পড়াচ্ছি। তারমধ্যে করোনায় একেবারে আমরা বিপর্যস্ত। বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজে অতিরিক্ত ফি এর কারনে অভিভাবক হিসেবে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মোছা.নাজমা খানম নামে এক অভিভাবক বলেন,খুব কষ্টে সন্তানের পড়ালেখা অব্যাহত রেখেছি। সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তি ফি বেশি হওয়ার কারনে এখনো ভর্তি করাতে পারিনি। ভিপি ডা.শহিদুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন-উপজেলার হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি ডিগ্রী কলেজে মাত্রাতিরিক্ত ফি দিয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি। মোঃ ইয়াছিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারি কলেজে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। মোঃ জিলানী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন পরিবারের টাকার সংকট ছিল এরপরও জুরানপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে-বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন, গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সিরাজুল ইসলাম, হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ছালেহ আহম্মেদ ফকির বলেন, অতিরিক্ত কোন টাকা নিচ্ছি না।
জানতে চাইলে দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি নীতিমালার বাহিরে এমপিওভূক্ত কলেজগুলোর অতিরিক্ত ফি আদায়ের সুযোগ নেই। অবশ্যই এব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান বলেন, আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি উপজেলার কলেজগুলোতে একাদশে ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নাকি অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে। কেন অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত চেয়েছি। একই সাথে সরকার নির্ধারিত ১৫০০ টাকার অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া জন্যে সকল কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।