ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ১০ দিনের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে বিবিসি। সেখানে মার্তা শোকালো নামে বিবিসির ইউক্রেনীয় সার্ভিসের এক কর্মীর সংবাদ সংগ্রহ ও সেখানে বসবাসের কঠিন সংগ্রাম উঠে এসেছে।
‘আমরা এখন যুদ্ধের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করছি, আমরা এখনও ভালো আছি। আমি খেয়াল করে দেখেছি— আমি এখন আর কাঁদতে পারছি না।’
মার্তা শোকালো তার প্রাত্যহিক জীবন নিয়ে বলেন, আমি সারারাত খবর পড়ার পর দিন শুরু করি। এর পর ইউক্রেনের চারপাশে নতুন বিস্ফোরণ গণনা করি। দুদিন আগেও কিয়েভে বড় রকেট হামলার শব্দে আমি জেগে উঠি। সেখানে আমার বাবা থাকেন। তাকে ফোন করার সাহস জোগাতে আমার ১০ মিনিট সময় লেগেছে-শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি ঠিক আছেন কিনা, তার সঙ্গী ঠিক আছেন কিনা? তারা ঠিক ছিলেন, পরে আমি স্বস্তি পাই।
আমার মা নিজের চেয়ে তার কুকুর ও বিড়ালদের জন্য কীভাবে খাবার সংগ্রহ করবেন তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। তিনি একদিন কুকুর ও বিড়ালদের জন্য দুটি রুটি কিনতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলেন, যেটি তিনি ফোন করে জানিয়েছিলেন। তিনি এমন এক শহরে থাকেন, যেখানে একসময় প্রচুর খাবার পাওয়া যেত। এখন খাবার সংকট চলছে।
আমি এখন যে গ্রামে বসবাস করছি, সেখানে স্থানীয় লোকেরা দুটি চেকপোস্ট করেছেন। তারা তাদের সব কিছু দিয়ে ছোট সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে প্রস্তুত।
ইউক্রেনবাসী বিজয়ের আশা করছেন জানিয়ে মার্তা শোকালো বলেন, ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ঐক্য এতটা শক্তিশালী ছিল না। তবে এখন তারা মৌমাছির মতো তাদের মৌচাক রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারা বিজয়ের আশা করছেন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার ১১তম দিন চলছে। আজ এই ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এদিকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।