রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন সেনারা ১১ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধে ইউক্রেনের বহু স্থাপনায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
এই যুদ্ধে দুই পক্ষের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণে বাঁচতে ইউক্রেন ছেড়ে অন্তত ১৫ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ১০ দিনে দেশটি থেকে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তাদের মধ্যে ছয় লাখ মানুষ প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলদোভা, শ্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে বাকিরা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এই প্রথম দ্রুত এত বেশি শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন, আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনের এই সংঘাত ঠিক কোন দিকে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ বছর না হলেও অন্তত কয়েক মাস ধরে চলবে।
ইউক্রেন যুদ্ধে ‘৩ হাজার আমেরিকান’
রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়নি। তবে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া ও দেশটির ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইউক্রেনের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ভয়েজ অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রায় ৩ হাজার আমেরিকান ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ থেকে আটক ৬ শতাধিক
রাশিয়ায় ২১টি শহরে ৬ শতাধিক যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন দেশটির কারাবন্দি বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি। ওভিডি-ইনফো নামে একটি মনিটরিং গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।