ম্যানচেস্টার ডার্বি বলে কথা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের বদলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হয়ে গেলো একপেশে এক লড়াই। প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। অবশ্য সেই হার ছাপিয়েও ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্থান পেলো এমন একজনের নাম। যিনি এই ম্যাচেই ছিলেন না!
গুঞ্জন উঠে শুরুর একাদশে জায়গা মিলবে না বলেই ম্যাচ খেলতে রোনালদো রাজি হননি। এমন প্রসঙ্গ উঠায় ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনটা ছিল উত্তেজনা ছড়ানো। কিন্তু ম্যানইউ কোচ রাফ রাংনিক জানালেন, ‘আসলে আমার মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কথার ওপর আস্থা রাখতেই হতো। ওরা শুক্রবার অনুশীলনের আগে আমার কাছে এসেছিল। তখন জানায় রোনালদো অনুশীলন করতে পারবে না। যেহেতু কোমরের নিচে চোট ছিল। এই কারণেই সে স্কোয়াডে ছিল না।’
একই দিন অনুপস্থিত ছিলেন ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানিও। ফলে সিটির কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যানইউ।
শুধু রোনালদো-কাভানি নন, করোনায় রাফায়েল ভারান ও লুক শ’রও এই ম্যাচ খেলা হয়নি। বিপরীতে কেভিন ডি ব্রুইনাই সিটির প্রাণভোমরা হয়ে উঠেন। প্রথমার্ধের দুটি গোলই আসে তার পা থেকে। অবশ্য ৫ মিনিটে প্রথম গোল হজমের পর ২২ মিনিটে ম্যানইউকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন সানচো। কিন্তু ২৮ মিনিটে আবারও সিটিকে এগিয়ে দিয়েছেন ডি ব্রুইনা।
বিরতির পর পুরোপুরি ছন্দে চলে আসা সিটিজেনরা। যার ধারাবাহিকতায় ৬৮ মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। অবশ্য এই গোলটিতেও অবদান ছিল ব্রুইনার। তার কর্নার থেকে গোল করেন রিয়াদ মাহরেজ। তার শটটি ম্যানইউ অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুইরের পায়ে লেগে জড়িয়েছে জালে।
যোগ করা সময়ে মাহরেজ দ্বিতীয় গোল পেলেও ভার রিভিউতে দীর্ঘক্ষণ দেখার পরেই সেটি বৈধতা পায়। শুরুতে সেটি অফসাইড ধরা হয়েছিল।
এই জয়ে ২৮ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে ম্যানসিটি। এক ম্যাচ কম খেলে লিভারপুল ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে। আর হারের পর পাঁচে নেমে গেছে ম্যানইউ। ২৮ ম্যাচে তাদের অর্জন ৪৭ পয়েন্ট।