আইপিএলে দল না পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘোষিত দলে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিসিবিকে।
কিন্তু হঠাৎ করেই রোববার ব্যক্তিগত কাজে দুবাই চলে গেলেন এ বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। যাওয়ার আগে খেলতে চান না জানিয়ে বিসিবিবে চিঠিও দেন সাকিব।
এ খবরে দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায় রাতেই।
২২ গজের মাঠের খেলায় কেন বিরতি চান সে কথা উল্লেখ করেন চিঠিতে।
সাকিব জানালেন, ক্রিকেট খেলার মতো মানসিক ও শারীরিক অবস্থায় নেই তিনি। এ মুহূর্তে নিজেকে তার মনে হচ্ছে ক্রিকেট উপভোগ করতে পারছেন না।
সাকিব বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে বলতে হয়, আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছি, মনে হয় না আমার পক্ষে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। আমি যদি একটা বিরতি পাই, যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই, তাহলে আমার জন্য খেলাটা সহজ হবে। কারণ আফগানিস্তান সিরিজে আমার মনে হয়েছে আমি একজন প্যাসেঞ্জার। আমি যেটা হয়ে কখনই থাকতে চাই না।’
সাকিবের কথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আফিগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি চাচ্ছেন তিনি। একই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান।
বিসিবি থেকে অবশ্য সাকিবের বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।
সাকিব বলেছেন, ‘আমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই সিরিজই একদমই উপভোগ করতে পারিনি। আমি চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি, কিন্তু হয়নি। আমার মনে হয় না, এমন মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলাটা ঠিক হবে। আমি এ কথা জালাল ইউনুস ভাইয়ের (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান) সাথেও আলাপ করেছি। জালাল ভাই বলেছেন, দুই দিন উনিও চিন্তা করবেন। আমাকেও চিন্তা করার সময় দিয়েছেন।’
এমন মানসিকা নিয়ে একাদশে নিজেকে যুক্ত করতে আগ্রহী নন সাকিব।
বিশ্বসেরা অন্যতম অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যদি আমার মন মানসিকতা থাকে, শারীরিক অবস্থা থাকে, তাহলে এটা দলের জন্যই ক্ষতি হবে। যেটা আগেও বললাম, আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা যদি আমি পূরণ করতে না পারি, তাহলে দলে থাকাটা খুবই দুঃখজনক হবে। এই অবস্থায় যদি খেলতে যাই, আমার সতীর্থদের ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই ব্যাপার হবে, যা আমি অবশ্যই চাই না।’
প্রসঙ্গত, তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল।