ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের নামে বুড়িচংয়ের একটি সড়কের নামকরণের দাবি
Published : Thursday, 10 March, 2022 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
 ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কাটাবন কনকর্ড টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্মারকগ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন করেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কবি, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা। এসময় তিনি বলেন, বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কার্যকর ভূমিকা দরকার। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় অতি দ্রুত ভাষাসৈনিকদের তালিকা করা সময়ের দাবি।বক্তারা ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের নামে বুড়িচংয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের নামকরণের দাবি করেন।
সেজন্য স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বুড়িচংয়ে আর একটি অনুষ্ঠান করা এবং তার নামে পাঠাগার করারও ঘোষণা দেন তারা। ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়া, জাতীয় শিক্ষক নেতা প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক, কুমিল্লার আবদুল মতিন খসরু মহিলা কলেজসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফুন্নাহার মুন্নী, প্রকৌশলী আবদুল মালিক, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. কামরুল ইসলাম ও ঢাবি সমাজকল্যাণ অ্যালামনাই ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী নওশাদুল হক।
গ্রন্থটির প্রকাশক সাউন্ডবাংলার স্বত্বাধিকারী মোমিন মেহেদী, সাংবাদিক শান্তা ফারজানা, ঢাবি সমাজকল্যাণ অ্যালামনাই ফোরামের সেক্রেটারি জুবায়দুর রহমান সৌরভ ও ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনিসুর রহমান মীর এসময় উপস্থিত ছিলেন। ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের আলোকিত জীবন ও আদর্শ নিয়ে আরও অনেক গবেষণা হতে পারে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।যাদের কারণে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছি, তাদেরকে জাতীয়ভাবে মূল্যায়ণ করাসহ ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার দাবিও তুলেন বক্তারা।