
দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরে সাকিব আল হাসানের না যাওয়া নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। অনেক দিন
ধরেই টেস্ট খেলছেন না তিনি। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সাকিব থাকবেন কিনা
সেটি নিয়েও সংশয় ছিল। সব সংশয় কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ২১ জনকে নিয়ে কেন্দ্রীয়
চুক্তি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন চুক্তি অনুযায়ী
সাকিব আল হাসান আছেন তিন ফরম্যাটেই।
সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর ২৪
জনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। সেখান থেকে বাদ
পড়েছেন ৫জন। বাদ পড়েছেন সাইফ উদ্দিন, আবু জায়েদ রাহী, সৌম্য সরকার, সাইফ
হাসান ও শামীম হোসেন। তাদের মধ্যে আবু জায়েদ ও সাইফ হাসান কেবল টেস্ট
ফরম্যাটে ছিলেন, শামীম ও সৌম্য ছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সাইফউদ্দিন
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছেন। অপর দিকে প্রথমবার সুযোগ
পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী
রাব্বি।
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুযায়ী শুধু টেস্টে রয়েছেন সাতজন।
টি-টোয়েন্টিতে আছেন চারজন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটে আছেন শুধু
তিনজন। টেস্ট ও ওয়ানডেতে আছেন দুই ক্রিকেটার। তিন ফরম্যাটেই আছেন কেবল ৫
ক্রিকেটার।
সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নাটক কম
হচ্ছে না সম্প্রতি। তবুও তার ওপরই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তাকে তিন ফরম্যাটে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২১জন ক্রিকেটারের নামের
তালিকা ঘোষণা করেছে বিসিবি।
সাকিবের চাওয়ার পরিপ্রেেিত আগামী ৩০ এপ্রিল
পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। যদিও তিনি টেস্ট
খেলতে চান না বলেই নিজের ইচ্ছার কথা নানা আঙ্গিকে বারবার প্রকাশ করে
যাচ্ছেন। সম্প্রতি দুবাই যাওয়ার আগে দণি আফ্রিকা যেতে চান না বলে যে
বক্তব্য দিয়েছেন সাকিব, সেখানেও তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন- সাদা বলের
ক্রিকেটে মনযোগ দিতে চান বেশি, টেস্টে নয়।
মোট ২১ জন খেলোয়াড়কে রাখা
হয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। এর মধ্যে তিন ফরম্যাটেই খেলবেন এমন ক্রিকেটার,
শুধু টেস্ট, শুধু টেস্ট, ওয়ানডে এবং টেস্ট এই ফরম্যাট এবং শুধু
টি-টোয়েন্টির চুক্তিভূক্ত সবাই রয়েছেন। গত জানুয়ারি থেকে আগামী ডিসেম্বর
পর্যন্ত এই ক্রিকেটাররা থাকবেন বিসিবির চুক্তির আওতায়।
সাকিব ছাড়াও তিন
সংস্করণেই আছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম।
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি - এই দুই ফরম্যাটে রয়েছেন মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ,
তামিম ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। টেস্ট থেকে অবসর
নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এ কারণে লঙ্গার ভার্সনে নেই
তিনি।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আছেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে, টি-টোয়েন্টিতে
ছয় মাসের বিরতিতে গেছে তিনি। অন্যদিকে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক আছেন শুধু
টেস্ট সংস্করণেই।
শুধুমাত্র টেস্টের চুক্তিতে রয়েছেন মুমিনুল হক,
তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, এবাদত হোসেন চৌধুরী, সাদমান ইসলাম,
ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়। শুধু টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে
রাখা হয়েছে নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, নাইম শেখ এবং শেখ মাহেদী
হাসান।
চুক্তিতে আলাদা আলাদা করে নাম উল্লেখ করে দেয়াতে স্পষ্ট হয়ে গেলো
আগামী একটি বছর কোন ক্রিকেটার কোন ফরম্যাটের জন্য নির্ধারিত হলেন। তবে,
পারফরম্যান্স করে চুক্তির বাইরের ক্রিকেটারও জাতীয় দলে আসতে পারে। যেমন
সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেনসহ আরও অনেকেই আছেন যারা, বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে
অনুশীলন করছেন। ভালো করতে পারলে চলে আসতে পারেন জাতীয় দলে।