ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মারিউপোলের একটি বাংকারে আটকা পড়েছেন দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। যুদ্ধের কারণে তারা সেখান থেকে বের হতে পারছেন না।
শনিবার (১২ মার্চ) জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মাহমুদুল হাসান দোলন ও মেহেদি হাসান। এক মাস আগে তারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউক্রেনে গিয়েছিলেন।
দোলনের ভগ্নিপতি পোল্যান্ড প্রবাসী মাসুদুর রহমান তুহিন টেলিফোনে বলেন, গত শনিবারের পর থেকে দোলনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার শেষকথা হয়েছে। সে সময় পাঁচ ঘণ্টার ‘হিউম্যান করিডর’ দেওয়া হয়েছিল। তখন দোলন ও মেহেদিসহ ৪০ জন সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মাঝপথে ইউক্রেনের সেনারা তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। কারণ তখন রাশিয়া সেখানে বোমাবর্ষণ করছিল। আমরাও ফোনে বোমাবর্ষণের আওয়াজ পেয়েছি।
এ বিষয়ে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, এরই মধ্যে নয়জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ দুই বাংলাদেশিকেও উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সমস্যা হলো, ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না গত পাঁচ-ছয়দিন ধরে। এই দুই বাংলাদেশিকে তাদের ‘লোকেশন’ ধরে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করছি হিউম্যান করিডরের জন্য।
এদিকে দোলন ও মেহেদির পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বাংলাদেশিকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।