লালমাইয়ে রাস্তা বন্ধ করায় ৫ পরিবার অবরুদ্ধ
Published : Wednesday, 16 March, 2022 at 12:00 AM
প্রদীপ মজুমদার :
আমার দাদার সম্পত্তি আমার চাচা বাড়ির সামনে আমরা পিছনে বসতি করছি। দীর্ঘ সময় চলাচলের রাস্তা ছিলো। গত কিছুদিন পূর্বে ঝগড়া হলে স্হানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসির মধ্যে রাস্তা উন্মুক্ত করা হয়।
কিন্তু এখন রাস্তা আটকে দেওয়ায় সাইকেল নিয়েও ঢুকতে পারছি না। বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে তা মাথায় করে অনেক ঘুরে আসতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার ১৫ মার্চ কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ৯নং বাকই উত্তর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধুশ্চর গ্রামের বাসিন্দা জসীম আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন।
মধুশ্চর গ্রামের মধ্যম পাড়ায় মৃত আবদুল গফুরের বাড়ির চলাচলের ২২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ভুক্তভোগী জসীম সহ ৫টি অসহায় পরিবারকে তারই চাচা চাঁনমিয়া ও তার দুই ছেলে হানিফ, হালিম বিভিন্ন সময় রাস্তাকে কেন্দ্র করে মারধর করে এবং চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগ করছেন প্রতিবেশীরা। রাস্তা বন্ধ করায় পরিবারগুলো প্রায় ১৫ দিন ধরে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে।
ভুক্তভোগী সহায়সম্বলহীন জোছনা বলেন রাস্তার উছিলায় প্রায়ই হানিফ ও হালিম হুমকি ধমকি দেয় । আমি প্রায়ই অসুস্থ থাকি। মাঝে মধ্যে অসুস্থ হলে যে একজন ডাক্তার আসবে সে ব্যবস্হা না-ই। এটা অনেক কষ্টকর। এ যুগেও এ ধরনের আচরণ করে মানুষ, তা ভাবা যায় না। আমরা যে কী মানবেতর জীবনযাপন করছি, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ’
রাশিদা নামে অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা বলার জায়গা নেই। অনেক হাত-পা ধরেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ওরা দাবি করছে রাস্তার জায়গা ওদের। রাস্তার ওপর টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গাছ ফেলে রাস্তা আটকে রেখেছে। মানুষ মরলে লাশ নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা নেই।
অবরুদ্ধ এসব পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘এখানের প্রায় সবাই খেটে খাওয়া দিনমজুর। সবাই শান্তিপ্রিয় গরিব মানুষ। যারা রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী। হঠাৎ করে তারা তাদের জমি দাবি করে রাস্তাটি দখল করে নেন। এ কারণে চলাচল করতে পারছি না আমরা। ’
অভিযুক্ত হালিম বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাস্তাটি হচ্ছে আমাদের জায়গার ওপর। আমাদের পেছনের লোকজন এ রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করছিল। তারা আমাদের বাঁশ ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এগুলো বিচার হলে তবেই রাস্তা দেওয়া হবে।
বাকই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইউব আলী বলেন, ‘রাস্তার জায়গা তাদের,বাপ দাদার । বহুবার শালিসি বসে সিদ্ধান্ত হয় চলাচলের রাস্তায় কোন বাঁধা থাকবেনা। পরক্ষনেই আবার গোলমাল লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। জনগণের চলাচলের রাস্তা কেউ নিজের বলে দাবি করতে পারে না।