দেশে গত এক দিনে ৮২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
দুই বছর পর শনিবার দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মত একশর নিচে নেমে আসে; ৬৪ জেলায় ৬২ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,মৃত্যু ছিল শূন্য।
পরের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও তা একশর নিচেই রয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে এই সময়ে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১৭ জনের।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন ৮৩৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৪৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের দাপটের মধ্যে এই হার গত জানুয়ারির শেষে রেকর্ড ৩৩ শতাংশে উঠেছিল।
মহামারীর পুরো সময়ে শনাক্তের গড় হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৬২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৭৫ শতাংশের বেশি।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে মোট তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের দুইজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং দুইজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি ছিল।
তাদের একজন ঢাকা বিভাগ, একজন খুলনা বিভাগ এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। মৃতদের মধ্যে দুইজন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৯৫ লাখের বেশি।