গোলাপি বলে দিন-রাতের প্রথম টেস্ট আয়োজন করেই কালিমালিপ্ত হলো ভারতের বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে ম্যাচ রেফারি ছিলেন জাভাগল শ্রীনাথ। নিজের রাজ্যের পিচ নিয়েও রিপোর্ট দিতে গিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নজির গড়লেন তিনি।
শ্রীনাথ তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের জন্য যে পিচ তৈরি করা হয়েছিল তাতে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরতে থাকে। পরের সেশনগুলোতে কিছুটা উন্নতি হলেও এই পিচ ব্যাট ও বলের মধ্যে সম-লড়াইয়ের জন্য আদর্শ ছিল না।
শ্রীনাথের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই পিচকে বিলো-অ্যাভারেজ (গড়পড়তা মানের নিচে) বলল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আইসিসির নিয়ম বলছে, ম্যাচ রেফারির মতে যে স্টেডিয়ামের পিচ ‘গড়পড়তার নিচে’ সেই স্টেডিয়াম একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে। এই ডিমেরিট পয়েন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। যদি কোনো স্টেডিয়ামে এভাবে পাঁচ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়, তবে সেখানে এক বছরের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেবে না আইসিসি।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুতে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্টে প্রথম সেশন থেকেই বল ঘুরতে থাকে। ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকার সকলেই বলছিলেন, চিন্নাস্বামীর পিচ চ্যালেঞ্জিং।
এমন ভয়াবহ ঘূর্ণি উইকেটে মাত্র আড়াই দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু টেস্ট। ভারত জয় পায় ২৩৮ রানের বড় ব্যবধানে। দিবা-রাত্রির ওই টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বেঙ্গালুরুর উইকেট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। প্রথম দিনেই দুই দলের ১৬ উইকেটের পতন হয়। এর ৯টি নিয়েছেন স্পিনাররা।