দুপুরে ছেলেকে মাছ দিয়ে খাবার খেতে দেন মা। কিন্তু মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার বায়না ধরল ছেলে। সন্তানের আবদার মেটাতে কিনে আনেন মুরগি। মাংস রান্না শুরু করলে পরে এসে খাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে সন্তান। এরপর আর ফেরেনি। ১৮ ঘণ্টা পর এলো ছেলের লাশ। ঘটনাটি নওগাঁর মান্দা উপজেলার। সোমবার সকালে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের আন্দারিয়াপাড়ার সাদেকুল ইসলামের ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল ১২ বছর বয়সী ইউসুফ আলীর লাশ। ইউসুফ কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
শিশুটির বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরে মাছ রান্না করে ইউসুফকে খেতে দেয় তার মা। কিন্তু মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার বায়না ধরলে গ্রামের পোলট্রির দোকান থেকে মুরগি কিনে আনা হয়। ছেলের জন্য মাংস রান্না শুরু করলে ইউসুফ পরে এসে খাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না।
নিহতের দুলাভাই আবুল কালাম বলেন, ইউসুফ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হলেও পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল ৯টার দিকে সাদেকুল ইসলামের ভুট্টাক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়েছিল শিশু ইউসুফের লাশ। কাপড়ের ফিতা দিয়ে দুই হাত পেছনে বাঁধা ছিল। তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। কেটে নেয়া হয়েছে তার পুরুষাঙ্গ।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ।