দেশে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যু ৮৩ শতাংশ কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
রোববার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৩
জন। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ১১২৩ জন। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে,
গত রোববারের পর শুধু বুধবার একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আগের
সপ্তাহে ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসেবে এক
সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়
নয় হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ দিন মৃত্যু
হয়েছে আরও একজনের।
রোববারের চেয়ে শনাক্ত, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী
শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। রোববার ৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২০২০
সালের ৬ এপ্রিল ৪১ জন রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর আর
কখনও দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এর নিচে নামেনি।
রোববার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। এই হার মহামারীর পুরো সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
নতুন
রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ
৫১ হাজার ৩৬৩ জন হয়েছে। একজনের মৃত্যু হওয়ায় ৱমহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা
২৯ হাজার ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৭১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৬৫ জনই ঢাকা জেলার।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৯৯৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬
হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০
সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫
অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক
দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গতবছরের শেষে দেশে সংক্রমণের হার কমে এলেও অতি
সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের দাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক সংক্রমণ ১৬ হাজার
ছাড়িয়ে গিয়েছিল, সংক্রমণের হার পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩৩ শতাংশে। ফেব্রুয়ারি
থেকে দৈনিক শনাক্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা আবার কমতে শুরু করে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি
মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৮ কোটি নয় লাখের বেশি।