ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শিক্ষার মানোন্নয়নে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন
Published : Thursday, 31 March, 2022 at 12:00 AM
শিক্ষার মানোন্নয়নে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনমোহাম্মদ কামরুল হাসান ।।
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানব সম্পদ অনস্বীকার্য। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রসমূহ তথা প্রোগ্রামিং, রোবটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনলজি, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনিং এর মত ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। এলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এজন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় একুশ শতকের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ  উন্নয়নে আইসিটি খাতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আইসিটি প্রকল্পসমূহ দ্রুততার সাথে সমাপ্তি নিশ্চিত করা, এ খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য তহবিল সরবরাহ, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের আইসিটি সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর বাজার বিপণনে সহায়তা প্রদান, ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিকন্তু প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এ ২০৪১ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র/ছাত্রী অন্তভুর্ক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা শতকরা ৯৫ ভাগ, উচ্চ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির হার শতকরা ৮০ ভাগ এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় অন্তভুর্ক্তির হার শতকরা ৪১ ভাগ নির্ধারণ করা হয়।
শিক্ষার মানোন্নয়নে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনএ পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কুমিল্লা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (অচঅ)-তে মানব সম্পদ উন্নয়নকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত উদ্দেশ্য হিসাবে চিহ্নিত করে। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ব্যবহারিক প্রদর্শনীর আয়োজন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক প্রশিক্ষণ, সেমিনার আয়োজনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়গুলো স্থানীয়ভাবে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ক্লাব গঠন, বিজ্ঞান মেলার আয়োজন, প্রোগ্রামিং, রোবটিক্স ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। একইসাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বালিকা বিদ্যালয়ে হাইজিন কর্ণার স্থাপন, অনগ্রসর এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপন এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম উজ্জীবিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অধিকন্তু বিজ্ঞান শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের স্থায়ীকরণের অংশ হিসাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০% এ উন্নীতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে সক্রিয়করণ এবং বিজ্ঞান ক্লাববিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞান ক্লাব গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় আয়োজিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং বিজ্ঞান মেলা। বৈচিত্রময়, আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাসমূহে ১৭টি উপজেলার ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮৭০১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রকল্প উপস্থাপনকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ, মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, জনপ্রতিনিধিগণ, অভিভাবকবৃন্দ এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠে। চাক্ষুস জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিজ্ঞান মেলা আসলেই একটি বাস্তব ও কার্যকর ক্ষেত্র।শিক্ষার মানোন্নয়নে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আরও উৎসাহী, উদ্ভাবনী ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলার লক্ষ্যে ১০ নভেম্বর ২০২১ এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আয়োজিত শিক্ষা সফরে ৪২ জন শিক্ষার্থী এবং প্রধান শিক্ষকসহ মোট ২ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য শুদ্ধাচার বিষয়ক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ভ্রাম্যমান বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনায় আনন্দঘন পরিবেশে সকল কার্যক্রমে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার তুলে দেন জনাব মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর।
পাশাপাশি রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২০০০ জন এর অধিক শিক্ষার্থীকে প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স এর উপর প্রাথমিক ধারণা প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে বাছাইকৃত ছয় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে সি প্রোগ্রামিং, সি +, সি ++, পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্টসহ মৌলিক বিষয়সমূহ সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগামীতে সফট্ওয়্যার, রোবটিক্স, ইথিক্যাল হ্যাকিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইমেজ প্রসেসিং, ওয়েব ডেভেলপিংসহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখতে পারবে মর্মে বিশ্বাস করেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন কর্ত?ক ক্লাবের জন্য একটি লোগো নির্বাচন করা হয়। ক্লাবের কার্যক্রমকে বেগবান করতে ৎড়নড়ঃরপংপঁসরষষধ.ড়ৎম নামক একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয় যেখানে ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত হওয়া সম্ভব। রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে অর্জিত জ্ঞানকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে কালেক্টরেট ফ্যাবল্যাব। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রোগ্রামিংলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের উদ্ভাবনমূলক কাজ করে যাচ্ছে ফ্যাবল্যাবটিতে। এখানে শিক্ষার্থীদেরকে গণিত ও প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে হাতে-কলমে যন্ত্রপাতি সন্নিবেশ করে মেশিন সেন্সরিং ও রোবটিক্স শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও গণিত, বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে পাঠ্যবইয়ে উল্লিখিত বিষয়ের ব্যবহারিক দিক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স এর পাশাপাশি বেকার অথচ শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০০০ জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
এ সকল উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞান শিক্ষক ও আইসিটি শিক্ষকসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে কতিপয় মতবিনিময় সভা করা হয়। এ সকল সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে মতামত প্রদান করা হয়। সভায় বিদ্যালয়সমূহের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ আয়োজনসহ পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ সকল উদ্যোগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রতিটি উপজেলায় জাইকা প্রকল্পের সহায়তায় ১০-১৫টি কম্পিউটার বিশিষ্ট একটি করে আইসিটি ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্থাপিত ৩৩৯টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে অধিকতর কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি ল্যাবে ১৭টি ল্যাপটপ, একটি এলইডি স্মার্ট টিভি, ওয়েব ক্যামেরা, প্রিন্টার, ল্যান কানেকশন সেটিং মাল্টিপ্লাগ, রাউটার, স্ক্যানারসহ মোট ২৩টি আইসিটি সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচারে ছয়টি ডিজিটাল স্মার্ট বোর্ড, পাঁচটি ডিজিটাল হাজিরা মেশিন, একটি ওয়াই-ফাই রাউটার, চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিজিটাল আইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমাগত ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে কাঙ্খিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল অর্থনীতির এ অগ্রযাত্রাকে বেগবান করার নিমিত্ত শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিদ্যালয়সমূহের পাঠক্রমে প্রোগ্রামিং, রোবটিকস, ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং, থ্রিডি প্রিন্টিং ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশ করা;
প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইসিটি শিক্ষক নিয়োগসহ বিদ্যমান আইসিটি শিক্ষকদের পাশাপাশি অন্য বিষয়ের শিক্ষকদেরও যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
বিদ্যালয়সমূহে প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স ক্লাব গঠন; জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তঃশ্রেণি, আন্তঃস্কুল ও আন্তঃউপজেলা প্রোগ্রামিং, রোবটিক্স ও কোডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা;
বিজ্ঞান, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহের ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত দলগত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা; এবং
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আরও তৎপর করার লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্মিত গ্রন্থাগার (ষরনৎধৎু), বিজ্ঞানাগার (ষধনড়ৎধঃড়ৎু) ও ডিজিটাল ল্যাবসমূহ (ফরমরঃধষ ষধনড়ৎধঃড়ৎু) এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং, কোডিং, রোবটিক্স ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ সারা দেশে বিস্তৃত করা গেলে বাংলাদেশ এর সফল অংশীদার হতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। এ লক্ষ্যে সকল অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক। এর মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত, আত্মনির্ভরশীল, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ কামরুল হাসান
জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা
ইমেইলঃ [email protected]