দ্বিতীয় সেশনে হঠাৎ ছন্দ পতনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছিলেন প্রোটিয়া দুই ব্যাটার কেগান পিটারসেন ও তেম্বা বাভুমা। থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুজনেই। এই সময় দ্রুত রান নেওয়ার তাড়া দেখাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তারা। পয়েন্টে বাভুমা তাসকিনের ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গেলে মিরাজের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রানআউট হয়েছেন পিটারসেন। ডিরেক্ট হিটে ১৯ রানে থেমেছে এই ব্যাটারের ইনিংস। ৪৬ ওভার শেষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। ক্রিজে আছেন তেম্বা বাভুমা (১৪) ও রায়ান রিকেলটন (০)।
অথচ ডারবানের প্রথম সেশনটায় যে আশায় বাংলাদেশ বোলিং নিয়েছিল। তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনে খালেদ আহমেদই এনে দেন প্রথম সাফল্য।
এবাদত দারুণ লেংথ দিয়ে প্রোটিয়াদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সাফল্য পাননি। দ্বিতীয় সেশনে কয়েক ওভার বোলিং করার পর তাকে রিপ্লেস করা খালেদ আহমেদ ফেরান ডিন এলগারকে। খালেদের বাড়তি বাউন্সের বল হালকা সুইং করেছিল। এলগার তা বুঝতেই পারেননি! ফলাফল বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়েছে লিটন দাসের গ্লাভসে। ১০১ বল খেলা প্রোটিয়া অধিনায়ক ফিরেছেন ৬৭ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। শুরুর আঘাতে ভাঙে ১১৩ রানের জুটিও।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সারেল এরউইর দুর্ভাগ্য বলতে হবে। মিরাজের বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। ১০২ বলে এরউই করেন ৪১।
এর আগে প্রথম সেশন ভালো কাটনি বাংলাদেশের। লাঞ্চের আগের সময়টা ছিল শুধুই দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই। প্রথম সেশনে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ২৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৯৫ রান।
তার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক টস জিতলেও ব্যাটিং নেননি। টেস্ট ম্যাচে এমনিতেই টস জিতলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জে কেউ যেতে চায় না। বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে হয়তো শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরার প্রত্যাশা থেকে। এখন সেই সুযোগটা কতটা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ সেটাই দেখার। এবারের আগে ২০০২, ২০০৮ ও ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন সফরের ছয় টেস্টের পাঁচটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। অন্যটিতে হার ৩৩৩ রানের ব্যবধানে। সাদা পোশাকে অন্য বড় দলগুলোর বিপক্ষে কিছুটা লড়াই করলেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বারবারই আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।