গাজীউল হাসান খান ||
‘দ্য ক্রেইনস আর ফ্লাইং’, ১৯৫৭ সালে নির্মিত রাশিয়ান (সোভিয়েত ইউনিয়ন) একটি ‘মাস্টারপিস’ ছায়াছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধভিত্তিক একটি মানবিক কাহিনি নিয়ে নির্মিত সেই ছায়াছবি দুই তরুণ-তরুণীর সহজাত প্রেম, স্বপ্নের নীড় রচনার বাসনা ও অবারিত মুক্ত দিগন্তে ভেসে চলার রোমাঞ্চ নিয়ে শুরু হয়েছিল। যুদ্ধের দামামা তখনো বেজে ওঠেনি। মস্কোর বিস্তৃত নীলাকাশে নিরুদ্বিগ্ন প্রশান্তির হাতছানি।
বরিস ও ভেরোনা পালিয়ে মিলিত হয়েছে ভোরের সূর্যোদয় দেখার প্রত্যাশায়। পূর্ব দিগন্তে তখন রক্তিম আভার ক্ষীণ আভাস। কী অপূর্ব এক মায়াবী পরিবেশ। ঠিক তখনই তারা দেখতে পেল দূর আকাশে একঝাঁক শ্বেতশুভ্র লম্বা গলার সারস উড়ে যাচ্ছে। আহা কী অপূর্ব দৃশ্য! এরা যেন এক স্বপ্নময় দূর অজানার ডাক দিয়ে গেল। তখন ১৯৪১ সালের মাঝামাঝি। দেখতে দেখতে অশান্ত হয়ে উঠল গোটা ইউরোপ। জার্মানির হিটলারের নাৎসি বাহিনী আক্রমণ করে বসেছে রাশিয়ার ওপর। এক অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠল ভেরোনিকার কোমল হৃদয়। বরিসকে শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখা গেল না। বন্ধুপ্রতিম এক সম্পর্কিত ভাই; মার্কের কাছে সব খবরাখবর নিয়ে বরিস স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাম লিখিয়ে যুদ্ধে চলে গেল। যাওয়ার আগে ভেরোনিকা বহু চেষ্টা করেও বরিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলো।
যুদ্ধ যখন শেষের দিকে, ক্রমে ক্রমে জার্মানির পরাজয়ের খবরে রাশিয়া উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল। রণক্ষেত্র থেকে পর্যায়ক্রমে দলে দলে ফিরে আসছিল বিজয়ী সেনারা। কিন্তু বরিসের দেখা পায় না ভেরোনিকা। এর মধ্যে একই ফ্রন্টে যুদ্ধ করা এক পরিচিত কমান্ডারের কাছে ভেরোনিকা নিশ্চিত খবর পেল যে যুদ্ধাহত বরিস আর বেঁচে নেই। মুহূর্তের মধ্যে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল ভেরোনিকার মাথায়। চরম হতাশা ও বিড়ম্বনার বিবর থেকে আকাশ পানে মুখ তোলে ভেরোনিকা দেখতে পেল মুক্ত সুনীল আকাশে আবার একঝাঁক অতি লম্বা গলার সারস উড়ে যাচ্ছে কোথাও, আরো কোনো দূর দিগন্তের সন্ধানে—‘দ্য ক্রেইনস আর ফ্লাইং’।ভল্গা তীরের মস্কো এবং ডিনাইপার তীরের কিয়েভসহ সমগ্র রাশিয়া ও ইউক্রেনে এখন বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তাদের আদিগন্ত নীলাকাশে এখন শ্বেতশুভ্র লম্ব গলার সারস উড়ে যাবে ঝাঁকে ঝাঁকে। প্রাচীনকাল থেকে দুই যমজ ভাইয়ের মতো সহাবস্থানরত রাশিয়া ও ইউক্রেনের বর্তমানে বিবদমান নেতারা সম্প্রতি বসেছিলেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। তাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর চালিয়ে যাওয়া সামরিক অভিযানের লাগাম ক্রমে ক্রমে টেনে ধরার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। রুশ সাম্রাজ্যের আদি রাজধানী ও অর্থডক্স ক্রিশ্চিয়ানিটির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পুতিন এবং রাশিয়ার অধিবাসীদের কাছে ইউক্রেনের কিয়েভের একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ইউক্রেনের পৃথক মাতৃভাষা থাকলেও সোভিয়েত শাসনামলে সব সদস্য রাষ্ট্রেই সরকারি মাধ্যম ছিল রুশ ভাষা। কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া এবং ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করাকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনীয়দের বহুদিনের লালিত জাতীয়তাবাদী ধ্যান-ধারণা অনেকটাই যেন আবার জ্বলে ওঠে। রাশিয়ার সামরিক নিরাপত্তা ও প্রভাববলয় থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে পশ্চিমা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে আগ্রহী হয়ে পড়ে জর্জিয়া ও ইউক্রেন। তাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিক থেকে প্রচণ্ড ঝুঁকিতে পড়ে রাশিয়া। শুধু তা-ই নয়, কৃষ্ণসাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত ক্রিমিয়া, অডেসা কিংবা মারিওপোল সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক বহির্বাণিজ্য ও রাশিয়ার জন্য চরম দুশ্চিতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সোভিয়েত জামানায় ক্রিমিয়া এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো ছিল তাদের সাবমেরিন ও অন্যান্য প্রতিরক্ষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি। সেই অবস্থায় দক্ষিণ-পূর্ব রুশভাষী ইউক্রেনীয় প্রদেশ দনবাসের দোনেৎস্ক ও লোহানস্ক অঞ্চলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের জাতীয়তাবাদী দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। তাতে ক্রমে ক্রমে অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে রাশিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলেও রাজনৈতিক অসন্তোষ দেখা দেয়। এককালের সমাজতান্ত্রিক শাসনাধীন সোভিয়েত ব্লকের ১৫টি নতুন রাষ্ট্রের মধ্যে জাতীয়তাবাদী উন্মেষ ও তৎপরতা সবার মধ্যে রাশিয়াকেই সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত করে তোলে।
বিশ্বায়নের যুগে যেখানে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিগুলো দ্রুত সমন্বিত হচ্ছে এবং একে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমে ক্রমে অনেক বেড়ে যাচ্ছে, তখনই পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা নতুন করে নিজেদের প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য শুরু করে এক অভিনব ষড়যন্ত্র। তারা পূর্ব ইউরোপের সাবেক সোভিয়েত সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর এবং অর্থনৈতিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৎপরতা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বেই নিরঙ্কুশভাবে চলতে থাকে সেসব অপতৎপরতা। প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের একতরফাভাবে ইরাক আক্রমণ কিংবা আফগানিস্তানের ওপর হামলার সময় সেই তৎপরতা প্রাধান্য না পেলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ উগ্র মার্কিন জাতীয়তাবাদী কর্মসূচির কারণে নতুন আঙ্গিকে তা আবার জেগে ওঠে। ট্রাম্প এর পাশাপাশি পঞ্চাশের দশকের স্নায়ুযুদ্ধের রাজনীতিকে আবার চাঙ্গা করে তোলেন। ট্রাম্প ছিলেন রিপাবলিকানদলীয়। অথচ পরবর্তী ডেমোক্রেটিকদলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী নীতি অনুসরণ করেন। তিনি বরং তাঁকে অর্থাৎ সেই বৃহত্তর পরিকল্পনাকে আরো উসকে দিয়েছেন। তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়া এবং বিশেষ করে চীনের সামরিক উত্থান ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে প্রতিরোধ করা।
রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও অন্যান্য রাসায়নিক পণ্যসামগ্রী ব্যবহার নিয়ে ইউরোপের জন্য বাইডেন যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার প্রয়াস পাচ্ছেন, তাতে একমত নয় জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু দেশ। যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপে রাশিয়ার যে তেল ও গ্যাসের বাজার দখল করতে চাইছে, সেই কারিগরি ক্ষমতা তার নেই। তা ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার অজুহাতে ন্যাটো সদস্যদের কাছে সামরিক অস্ত্র বিক্রির যে পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তা-ও বহু দিক থেকে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে ক্রমেই। সে কারণেই রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানকে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষে পরিণত করে ন্যাটোকে জড়াতে চান বাইডেন। এ বদ্ধমূল ধারণা বাইডেনের। এরই মধ্যে নব্য জাতীয়তাবাদী ইউক্রেনের নেতা ভোলোদিমির জেলেনস্কি বুঝে গেছেন যে তাদের কোনো দিনই ন্যাটোর সদস্য পদ দেওয়া হবে না। আধুনিক পশ্চিমা সমরাস্ত্র কেনার ক্ষমতা তাঁর নেই। তা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নেও ইউক্রেনের সদস্য পদ লাভের বিষয়টি সুদূরপরাহত। সুতরাং দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষী দনবাসের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা এবং ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তি তাঁকে মেনে নিতেই হচ্ছে। তদুপরি অস্ট্রিয়া কিংবা ফিনল্যান্ডের মতো সামরিক দিক থেকে একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে টিকে থাকতে হবে। নতুবা রাশিয়ার পুতিন জেলেনস্কি কিংবা তাঁর দেশকে কৃষ্ণসাগরে ষোলো আনা বন্দর সুবিধা দেবে না। জাতীয়তাবাদী মারিওপোল গুঁড়িয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে রুশভাষী দোনেৎস্ক ও লোহানস্কের ওপর তাঁদের (ইউক্রেনীয়দের) কঠোর মনোভাব ও অতীতের অব্যাহত হামলা। ইস্তাম্বুলে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ কিংবা তার উত্তরের ছোট ছোট শহরে হামলার রাশ টেনে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটাকে পুতিনের দুর্বলতা মনে করলে ভুল হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ইউক্রেন অভিযান ষোলো আনাই জেলেনস্কি ও উগ্র জাতীয়তাবাদী ইউক্রেনীয়দের চরম উসকানির ফল; এ অভিমত অনেক পশ্চিমা সংবাদ বিশ্লেষকের। ইউক্রেন এখনো রাশিয়ার গ্যাসসহ জ্বালানি সম্পদ, রাসায়নিক সার এবং অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর ওপর নির্ভরশীল। রুশ অভিযানের আগে তাদের ধারণা ছিল পশ্চিমা শক্তি তাদের সব চাহিদা মিটিয়ে দেবে। ভাসিয়ে দেবে উন্নয়নের জোয়ারে। জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী তেমন আশ্বাসই নাকি তাদের দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই জেলেনস্কি চেয়েছিলেন পশ্চিমা আধুনিক যুদ্ধবিমান, অস্ত্রশস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এখন তারা চাচ্ছে তাদের সমঝোতার অন্যতম প্রধান শর্ত হিসেবে একটি ‘সিকিউরিটি গ্যারান্টি’। ইউক্রেন সেই গ্যারান্টি ন্যাটের কাছে চাইতে পারে না। কারণ তারা ন্যাটোর সদস্য নয়। একমাত্র তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হয়েও প্রতিবেশী হিসেবে মোট সাতটি ভিন্ন রাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সহযোগিতায় সেই গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার বেশ কিছু পাল্টা শর্তও রয়েছে, যা প্রণিধানযোগ্য। তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করে, বর্তমান রুশ-ইউক্রেন সংকট-পরবর্তী বিশ্ব একটি ভিন্ন ধারার ‘বিশ্বব্যবস্থার’ উদ্ভব দেখতে পারে, যা অনেক কিছুই বদলে দেবে। তার অন্যতম প্রধান একটি বিষয় হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের পাশাপাশি চীনের মুদ্রা ইউয়ান/রেনমিনবি বিশ্ব বাণিজ্যে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, বিদেশি ক্রেতাদের রাশিয়ার পণ্য রুবলে খরিদ করতে হবে। এ অবস্থায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুক্রবার থেকে আবার শুরু হবে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কী ছিল প্রকৃত পরিকল্পনা, তাতে তিনি কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছেন, সেগুলো অত্যন্ত তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষী দাঙ্গাপীড়িত দনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লোহানস্কে রাশিয়া তার অবস্থান অনেকখানিই পাকাপোক্ত করেছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া রাশিয়ার ক্রিমিয়া অন্তর্ভুক্তি এবং ইউরোপে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েও দীর্ঘ বিতর্কের জট এখন ক্রমেই খুলছে। বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষ রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে ঐক্যবদ্ধভাবে। ইউক্রেনে সংঘটিত রুশ সামরিক অভিযানের লোমহর্ষক ধ্বংসযজ্ঞও হয়তো ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই লেখা থাকবে। ‘দ্য ক্রেইনস আর ফ্লাইং’-এর বরিসের মতো অনেক দেশপ্রেমিক ইউক্রেনীয় যুবক এতে আত্মাহুতি দিয়েছেন। বিপর্যয় নেমে এসেছে ভেরোনিকার মতো অসংখ্য তরুণীর জীবনে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও লাখ লাখ নারী-শিশু-বৃদ্ধ নিজ গৃহ ত্যাগ করে শরণার্থী হয়েছেন। তাঁরা কায়মনোবাক্যে চান অবিলম্বে দেশে শান্তি-স্বস্তি ফিরে আসুক। বসন্তের সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ুক তাঁদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়িতে। মস্কো, কিয়েভসহ সর্বত্র আবার দিগন্তে ডানা মেলুক শ্বেতশুভ্র সারস পাখির ঝাঁক।
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত সাবেক মিনিস্টার
[email protected]